ঢাকা: অফিসে অনুপস্থিত এবং ভাইকে দিয়ে অফিস করানোর অভিযোগে চাকরি খোয়ালেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এক ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। শুধু তাই নয়, প্রতারণার মামলা দেওয়ায় দুই ভাই এখন শ্রীঘরে।
ইসির আইডিইএ প্রকল্পের কমিউনিকেশন শাখার অফিসার ইনচার্জ স্কোয়াড্রন লিডার কাজী আশিকুজ্জামান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, অফিসে উপস্থিত না হওয়া, অনুপস্থিত থাকাসহ শৃঙ্খলাভঙ্গ ও প্রতারণা করে ছোট ভাইকে দিয়ে অফিস করানোর অভিযোগে কিশোরগঞ্জের নিকলি থানা নির্বাচন অফিসে আইডিইএ প্রকল্পে কর্মরত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. নুরে আলমকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এছাড়াও প্রতারণায় সহযোগিতা করার অভিযোগে অভিযুক্ত ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের সহযোগী ছোট ভাই মাজহারুল ইসলাম ওরফে সানি মিয়াকেও পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জুন) মামলা দায়ের পর তাদের শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গত ২৮ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. নূরে আলমের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে দায়িত্বে অবহেলা, অনুমতি ছাড়া অফিসে অনুপস্থিত হওয়া ও ত্যাগ করা এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করাসহ গুরুতর অভিযোগ করেন।
যার পরিপ্রেক্ষিতে ২ মে প্রকল্প কার্যালয়ে সংযুক্ত করে ক্যান্টমেন্ট থানা নির্বাচন অফিসে দায়িত্ব পালনের জন্য নূরে আলমকে বদলি করা হয়। প্রকল্প কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকালীন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নূরে আলমের বিরুদ্ধে ছোট ভাই সানি মিয়াকে দিয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানা নির্বাচন অফিসে প্রক্সি ডিউটি করানোর অভিযোগও পাওয়া যায়।
গত ৭ জুন আইডিইএ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের নেতৃত্বে একটি টিম ক্যান্টনমেন্ট থানা নির্বাচন অফিস পরিদর্শন করেন। এসময় স্মার্টকার্ড বিতরণে কর্মরত ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়।
পরদিন ৮ জুন মঙ্গলবার প্রকল্প কার্যালয়ে অভিযুক্ত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নূরে আলম ও তার ভাইয়ের তদন্তসাপেক্ষে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানির সময় আলম তার বিরুদ্ধে ওঠা কিশোরগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসারের সব অভিযোগের দায় স্বীকার করেন। পাশাপাশি ক্যান্টনমেন্ট থানা নির্বাচন অফিসে তার পরিবর্তে তার ভাই মো. মাজহারুল ইসলাম কাজ করছে বলে স্বীকার করেন। এই অপরাধকে প্রতারণা বলে মনে করে আইডিইএ প্রকল্প ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২১
ইইউডি/এএ