ঢাকা: আসন্ন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য ইভিএমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিল সংস্থাটি।
ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার সোমবার (১৪ জুন) নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন। নির্দেশনার অনুলিপি আইন-শঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছেও পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদের ২৭৫ লক্ষ্মীপুর-২ নির্বাচনী এলাকার শূন্য আসনে নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী দ্রব্যাদি যথাযথভাবে সংরক্ষণ, ভোটকেন্দ্রে পাঠানো এবং ভোটগ্রহণ শেষে ভোটকেন্দ্র থেকে সিলগালাকৃত কাগজপত্র ও নির্বাচনী দ্রব্যাদি ট্রেজারিতে সংরক্ষণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছেন।
ইভিএমসহ বিভিন্ন নির্বাচনী দ্রব্যাদি রিটার্নিং অফিসারের কাছে যথাসময়ে পাঠানো অত্যাবশ্যক। ইভিএমসহ বিভিন্ন নির্বাচনী দ্রব্যাদি জেলাপর্যায়ে পৌঁছানোর পর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী পর্যাপ্ত নিরাপত্তার সঙ্গে ইভিএমসমূহ জেলা পর্যায়ে নিতে হবে। জেলা পর্যায় থেকে উপজেলা পর্যায়ে এবং পরবর্তীতে প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সহযোগে ভোটকেন্দ্রে অন্যান্য মালামালের সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। ইভিএম বিতরণ ও সরবরাহের সময় নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা দেবে।
ইভিএমসহ অন্য মালামাল প্রিজাইডিং অফিসারদের মধ্যে বিতরণের পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত নিরাপদে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সব পর্যায়ে যাতে ইভিএমের গোপনীয়তা রক্ষিত হয় তার নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে।
এছাড়া রিটার্নিং অফিসারের কাছে ব্রাস সিল পাঠানো হবে। পাঠানো সিলে নিরাপত্তামূলক নম্বর (কোড মার্ক) রয়েছে। সুতরাং এ সিলটি প্রিজাইডিং অফিসারদের মধ্যে বিতরণের সময় কোন ভোটকেন্দ্রে কোন নম্বরের সিল সরবরাহ করেছেন তা বিতরণ রেজিস্টারে লিখে রাখতে হবে এবং সিলের ছাপও নিরাপদ স্থানে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।
বিভিন্ন নির্বাচনী মালামাল ভোটকেন্দ্রে সরবরাহের জন্য চটের ব্যাগও পাঠানো হবে। প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রের নির্বাচনী দ্রব্যাদি চটের ব্যাগে আবদ্ধ করে সিল গালা করতে হবে এবং ভোটগ্রহণ শেষে ওই চটের ব্যাগেতেই সিল গালা করে প্রিজাইডিং অফিসারকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রিজাইডিং অফিসারের পক্ষে পিতলের সিল (ব্রাস সিল) ব্যাগে ভরা সম্ভব হবে না। কারণ পিতলের সিলের মাধ্যমে চটের ব্যাগ সিলগালা করতে হবে বিধায় পিতলের সিলটি পৃথকভাবে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দিতে হবে। অতঃপর পর্যাপ্ত পুলিশ প্রহারাধীনে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সহকারী রিটার্নিং অফিসার/রিটার্নিং অফিসারের কাছে তা হস্তান্তরের নির্দেশ দিতে হবে।
সিলমোহরকৃত চটের ব্যাগ ভোটকেন্দ্র থেকে পাঠানোর আগে ব্যাগে ভোটকেন্দ্রের নম্বর ও নাম লিখিত কাগজ দ্বারা সেঁটে দিতে হবে। নির্বাচনী দ্রব্যাদি ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছানের জন্য সহায়তা, ভোটগ্রহণের আগের দিন প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছে মালামাল বিতরণ করার পর ভোটকেন্দ্রে গমনের জন্য ব্যবস্থা করা এবং ভোটকেন্দ্রে ভোটগণনা শেষে ফলাফল ও নির্বাচনী দ্রব্যাদিসহ সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে আসার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
নির্বাচনী দ্রব্যাদি পরিবহন বিশেষ করে ভোটকেন্দ্র থেকে ফলাফল ও নির্বাচনী দ্রব্যাদি উপজেলা/থানা সদরে নিয়ে আসার সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজনে নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালনরত মোবাইল ও স্ট্রাইকিংফোর্সের সহায়তা নিতে হবে।
নির্বাচন শেষে সমস্ত নির্বাচনী কাগজপত্র গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৪২ এর বিধান অনুসারে সংরক্ষণ করতে হবে। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্বাচনী কাগজপত্রাদি সরকারি কোষাগারে (ট্রেজারিতে ডাবল লকে) সংরক্ষণ করতে হবে এবং সংরক্ষণে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও রক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আগামী ২১ জুন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের ভোটগ্রহণ করবে ইসি। এ নির্বাচনে দু’জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২১
ইইউডি/আরবি