ঢাকা: আসন্ন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিচার বিভাগীয় ‘নির্বাচনী তদন্ত কমিটি’ গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই কমিটি যেকোনো অনিয়মের তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তি প্রদানে ইসির কাছে সুপারিশ করবে।
তদন্ত কমিটি গঠন সংক্রান্ত ইসির আইন শাখার উপ-সচিব আফরোজা শিউলি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ৯১(এ) ধারার ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে একাদশ জাতীয় সংসদের শূন্য ঘোষিত ২৭৫ লক্ষ্মীপুর-২ আসনের নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।
নির্বাচনী পূর্ব সময় বলতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করার সময় পর্যন্ত বোঝায়।
লক্ষ্মীপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. আক্তার হোসেন এবং সহকারী জজ মো. ইকবাল হোসাইনের সমন্বয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আগামী ২১ জুন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদে এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুল। গত ২৮ জানুয়ারি কুয়েতের ফৌজদারি আদালত পাপুলকে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় তার আসনটি ২২ ফেব্রুয়ারি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। আসন শূন্য ঘোষণা গেজেট নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হলে গত ৩ মার্চ উপ-নির্বাচনের তফসিল দেয় ইসি। ১১ এপ্রিল ভোটের তারিখ থাকলেও পরবর্তীতে করোনার কারণে পিছিয়ে দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। সে সময়ও শেষ হয়ে আসায় গত ২ জুন ভোটের নতুন তারিখ দেয় কমিশন।
পাপুলের বিরুদ্ধে কুয়েত সরকার মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগ এনে ২০২০ সালের ৭ জুন আটক করেছিল। তারপর বিচারকাজ শেষে দেশটির আদালত ২৮ জানুয়ারি রায় দেন। তার স্ত্রী সেলিনা ইসলামও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের এমপি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২১
ইইউডি/এমজেএফ
