সিলেট: সিলেট-৩ আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান। এ আসনে মাহমুদ উস সামাদের উত্তরসূরী হতে নৌকা প্রতীকে ভোটের ময়দানে জনমত বাড়াতে ব্যস্ত।
এরইমধ্যে নির্বাচন কমিশনে নিজের হলফনামা দাখিল করেছেন প্রবাসী এই আওয়ামী লীগ নেতা। তার রাজনৈতিক বর্ণাঢ্য জীবন কেটেছে আয়েশে। রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে কোনো মামলার আসামি হতে হয়নি। অতীতেও কোনো মামলা ছিল না তার। তাই হলফ নামায় মামলার কোটা শূন্য।
পেশায় ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান পূর্বাচল প্রবাসী পল্লী গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি)। পেশা ব্যবসা দেখালেও হলফনামায় এ খাতে কোনোও আয় উল্লেখ করেননি তিনি। তবে যৌথ এ ব্যবসায় ৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকার ঋণের অংশীদার দেখিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়া প্রবাসী এই রাজনীতিবিদের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৯৫ লাখ ১৪ হাজার ২৪৯ টাকা। নগদ টাকার পরিমাণ ৮৭ লাখ ৫২ হাজার। ব্যাংকে আছে ৫২ হাজার ২৪৪ টাকা। ৩৫০০ শেয়ারের মূল্য দেখিয়েছেন ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা।
অস্থাবর সম্পদের দিকে স্ত্রী তার চেয়ে এগিয়ে। স্ত্রীর নগদ আছে এক কোটি ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৩০ টাকা। ব্যাংকে আছে যৎসামান্য ৯ হাজার ৪৪৮ টাকা। স্বামী-স্ত্রীর কাছে নগদ আছে ২ কোটি ৬৭ লাখ ১০ হাজার ৭৩৫ টাকা।
স্থাবর সম্পদ বলতে হাবিবের নামে ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৩৯৮ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি রয়েছে। তাই কৃষিখাত থেকে কোনো আয় নেই। পূর্বাচলে আছে ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের ৭ কাটা প্লট। তবে কৃষিখাত থেকে বছরে স্ত্রীর আয় দেখিয়েছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৫০ টাকা।
এছাড়া স্বর্ণালঙ্কার, গাড়ি, কিংবা গৃহস্থালী সামগ্রীর কিছুই হলফনামায় উল্লেখ করেননি হাবিব।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২১
এনইউ/এএটি