ঢাকা: সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল বাতিল কিংবা কোনো অপরাধের বিচার পেতে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে।
ইসি আইন শাখার উপ-সচিব আফরোজা শিউলি জানান, ইতোমধ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট জেলার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজের সমন্বয়ে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ এবং জেলা ও দায়রা জজের সমন্বয়ে ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করা হয়েছে।
২১ জুন ষষ্ঠ ধাপের দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ ও ঝালকাঠি সদর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি নির্বাচনী ফলাফল গেজেট আকারেও প্রকাশ করা হয়েছে।
আইন অনুযায়ী, ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে হবে ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে। এ নির্বাচনে গেজেট প্রকাশ হয়েছে ৩০ জুন। অর্থাৎ আবেদন করার আর এক মাসেরও কম সময় আছে।
আইনে বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনালে আবেদন জমা পড়লে আবেদন নিষ্পত্তি করা হবে ১৮০ দিনের মধ্যে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে কেউ সন্তুষ্ট না হলে, সে রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আবার আপিল ট্রাইব্যুনালয়ে যাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে আপিল ট্রাইব্যুনালও আবেদনের ১৮০ দিনের মধ্যে রায় দেবেন।
যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে দুই পক্ষই আবেদন করতে পারবে।
অনিয়মের জন্য ‘নির্বাচিত প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল এবং সামগ্রিক নির্বাচন বাতিলের আবেদন করা যাবে। ’
এক্ষেত্রে অপরাধ সংঘঠিত হওয়ার স্থান, সময় ও তারিখ স্পষ্ট করে উল্লেখ করবে আবেদনকারীকে।
উভয় পক্ষের শুনানির পর ট্রাইব্যুনাল বা আপিল ট্রাইব্যুনাল যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটাই চূড়ান্ত হবে।
নির্বাচিত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ হলে, নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য হলে, দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে ভোটের ফল অর্জন বা ফল অর্জনের জন্য কার্যকলাপ বা আচরণ করা হলে, নির্বাচিত প্রার্থী তার এজেন্ট বা অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যোগসাজশ করে কোনো দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপ বা বেআইনি আচরণ করলে এবং নির্বাচনী ব্যয়সীমা লঙ্ঘণ করলে ট্রাইব্যুনাল নির্বাচিত প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল করতে পারবেন। আবেদনকারী শুনানিতে হাজিরা দিতে না এলে বা অনুপস্থিত থাকলে আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।
আবেদনকারী শুনানির যে কোনো সময় আবেদন বা আপীল প্রত্যাহার করতে পারবেন। এছাড়া আবেদনকারী মৃত্যুবরন করলে আবেদন বা আপিল বাতিল হয়ে যাবে। ট্রাইব্যুনাল বা আপিল ট্রাইব্যুনালের খরচ আবেদনকারীকেই বহন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২১
ইইউডি/এমজেএফ