ঢাকা: ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে আগামী ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে হিসাব জমা দেবেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বলেন, কোনো আসনে নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ হলে, সেই তারিখের ৩০ দিনের মধ্যে সব প্রার্থীকে নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হয়।
এ দুই আসনে দু’জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনের ফলাফল ২৯ জুন গেজেট প্রকাশ করে ইসি। সে অনুযায়ী, নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার সময় শেষ ২৮ জুলাই।
ঢাকা-১৪
এ আসনে বাছাইয়ের পর বৈধতা পান আওয়ামী লীগের আগা খান মিন্টু, জাতীয় পার্টির মোস্তাকুর রহমান, জাসদের মো. আবু হানিফ, বিএনএফের এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম।
মনোনয়নপত্র বাতিল হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান ও এম রুহুল আমীন সরকারের।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে করোনা পরিস্থিতি অবনতির কারণ দেখিয়ে বৈধ তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আগা খান মিন্টু।
কুমিল্লা-৫
এ আসনে দু’জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্রই বৈধ হয়। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসেম খান ও জাতীয় পার্টির মো. জসিম উদ্দিন। তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন জসিম উদ্দিন। এর ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আবুল হাসেম খান।
আইন অনুযায়ী, সব বৈধ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকেই ভোটে ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর জন্য ভোটার প্রতি গড় ব্যয় ১০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। তবে কোনো আসনের ভোটার সংখ্যার আধিক্যের কারণে মোট ব্যয় ২৫ লাখ টাকার বেশি হতে পারবে না।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব নির্ধারিত সময়ে মধ্যে নির্বাচন কমিশনে জমা না দিলে বা কমিশন নির্ধারিত অঙ্কের বেশি ব্যয় করলে তার বিরুদ্ধে জেল, জরিমানার বিধান রয়েছে।
দশম সংসদ নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টির তৎকালীন চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ সময় মত নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ছিল ইসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২১
ইইউডি/আরআইএস