ঢাকা: ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ করলেও পরের ধাপের ভোট নিয়ে আপাতত কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই নির্বাচন কমিশনের। এক্ষেত্রে আগস্টে ভোট না করে বরং করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে সংস্থাটি।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব মো. ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, করোনাকালীন সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচন ছাড়া আর কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। অন্তত আগস্ট মাসে ভোটের কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই।
‘আমরা ইতিমধ্যে করোনকালীন নির্বাচন করা সম্ভব নয় মর্মে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। তারাও সে অনুযায়ী, বর্তমান চেয়ারম্যানদেরকেই পরবর্তী ভোট না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে থাকতে বলেছেন। তাই পরিস্থিতির উন্নতি হলে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে বললে আমরা নির্বাচন করে ফেলবো। আমাদের সকল প্রস্তুতিই নেওয়া আছে। ’
কেবল ইউপি নয়, স্থানীয় সরকার অন্যান্য সাধারণ এবং উপ-নির্বাচনও আমরা সম্পন্ন করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। এক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই ভোটগ্রহণ করা হবে।
২০১৬ সালের মতো এবারও ছয় ধাপে দেশের সকল ইউপি নির্বাচন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই লক্ষ্যে ৩৭১টি ইউপিতে গত ১১ এপ্রিল ভোটের তারিখ দেয় কমিশন। কিন্তু করোনার হানা বাড়তে থাকায় তা স্থগিত করতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে করোনা পরিস্থিতি অবনতি আরো হওয়ায় বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির কারণে নতুন করে ভাবতে হয়।
এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে প্রথমবারের তালিকা কাটছাঁট করে বাদ দেওয়া হয় অধিক ঝূঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো। অবশেষে গত ২১ জুন ২০৪ ইউপিতে ভোটগ্রহণ করা হয়। স্থগিত রাখা হয় ১৬৭টি ইউপির নির্বাচন।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই এসব ইউপির ভোটগ্রহণ হতে পারে। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণের কার্যক্রমও শুরু করবে ইসি।
বর্তমানে দেশে ইউপির সংখ্যা ৪ হাজার ৪৮৩টি। সর্বশেষ ২০১৬ সালে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত নবম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে সময় ছয় ধাপে ৪ হাজারের বেশি ইউপিতে ভোট করেছিল ইসি।
২০১৬ সালের ২২ মার্চ ৭৫২টি, ৩১ মার্চ ৬৮৪টি, ২৩ এপ্রিল ৬৮৫টি, ৭ মে ৭৪৩টি, ২৮ মে ৭৩৩টি এবং ৪ জুন ৭২৪ টি ইউপি নিয়ে ছয় ধাপে মোট ৪ হাজার ৩২১টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাকি ১৬২টিতে অন্যান্য সময়ে ভোট হয়েছে।
নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, ইউপিতে নির্বাচন করতে হয় আগের নির্বাচন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে। আর পরিষদের মেয়াদ হচ্ছে নির্বাচনের পর প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। সেই অর্থে এবার নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ হয়নি। করোনা মহামারিকে কারণ দেখিয়ে নির্বাচন পেছানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২১
ইইউডি/এসআইএস