ঢাকা: জীবিত ভোটার করণিক ভুলে মৃত দেখালে সেটা ঠিক করা যাবে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়েই। এজন্য আর ঊধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে না।
এমন একটা প্রস্তাব রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে নথি উপস্থাপন করছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগ।
জানা যায়, চলতি বছরও প্রায় ১০ হাজার জীবিত ভোটারকে মৃত হিসেবে ভুলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিবছরই তালিকা হালনাগাদের সময় ভুলটি হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে খেসারত দিতে হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে।
ভোগান্তির কারণ সম্পর্কে কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো ভোটার স্ট্যাটাস পরিবর্তন করতে হলে কমিশনের অনুমোদন লাগে। তাই উপজেলায় বা মাঠ পর্যায়ে কেউ জীবিত থাকার পরেও মৃত হয়ে গেলে যখন আবেদন করেন, সেটি জেলা কার্যালয়, আঞ্চলিক কার্যালয়, এনআইডি অনুবিভাগ হয়ে কমিশনের কাছে উপস্থাপিত হয়। ফলে সময় লেগে যায় মাসের পর মাস। এতে দুর্ভোগের কোনো সীমা থাকে না।
বিষয়টি উপলব্ধি করে এবার উপজেলাতেই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ নিয়েছে এনআইডির পরিচালক (অপারেশন্স) মো. নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, যেহেতু ভোটার করার ক্ষমতা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার হাতে, তাই ভোটার মৃত কি জীবিত সেটা নির্ধারণ করার এখতিয়ার প্রমাণ সাপেক্ষে তারই থাকা উচিত। তাই তার হাতেই এই এখতিয়ার দেওয়া উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ফলে জীবিত ভোটার মৃত দেখালে উপজেলা কার্যালয়ে আবেদন করলে কম সময়েই সমাধান হয়ে যাবে।
বর্তমানে ইসির ভোটার সার্ভারে ১১ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার ৬৬৯ ভোটার রয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের স্ট্যাটাসই জীবিত থাকার পরও মৃত হিসেবে দেয়া আছে। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কোনো সেবা নিতে গেলে বিপাকে পড়েন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২১
ইইউডি/এনটি