ঢাকা: জীবিত ভোটার করণিক ভুলে মৃত দেখালে সেটা ঠিক করা যাবে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়েই। এজন্য আর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে না।
সোমবার (৯ আগস্ট) সব উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে এমন ক্ষমতা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার (৮ আগস্ট) ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেনের স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, যেসব জীবিত ভোটারের স্ট্যাটাস ভুল করে ‘মৃত স্ট্যাটাসে’রয়েছে, সেসব ভোটারের স্ট্যাটাস ভোটার তালিকা আইন-২০০৯-এর ১০ বিধিতে উল্লেখিত সময়কাল ব্যতিরেকে রোল ব্যাক কার্যক্রম, সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের প্রদানের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
রেজিস্ট্রেশন অফিসাররা কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে রোল ব্যাক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে অনুমোদন করতে হবে। এই কার্যক্রম সম্পন্নের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ভোটার যেন হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্যও নির্দেশনা দিয়েছেন সিইসি।
ভোটার তালিকা প্রণয়ন বা ভোটার করার ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আর থানা নির্বাচন কর্মকর্তা। এতদিন স্ট্যাটাস পরিবর্তন করতে আবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হতো। কখনো কখনো ঢাকায় কমিশনের কাছেও পাঠানো হতো। এতে ভুক্তভোগী উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় কিংবা ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে দিনের পর দিন ঘুরতেন।
এনআইডির পরিচালক (অপারেশন্স) মো. নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, যেহেতু ভোটার করার ক্ষমতা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার হাতে, তাই ভোটার মৃত কি জীবিত, সেটা নির্ধারণ করার এখতিয়ার প্রমাণ সাপেক্ষে তারই থাকা উচিত। তাই তার হাতেই এই এখতিয়ার দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিইসি সেই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন। ফলে জীবিত ভোটার মৃত দেখালে এখন থেকে উপজেলা কার্যালয়ে আবেদন করলে কম সময়েই বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে।
স্ট্যাটাস পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যে উপজেলায় ভোটার হয়েছেন, সেই উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়েই যেতে হবে। তবে যদি সংশ্লিষ্ট উপজেলায় বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির এলাকায় কোনো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়, তবে ভোটের ফলাফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত স্ট্যাটাস পরিবর্তন করা যাবে না। শুধু স্ট্যাটাস পরিবর্তন নয়, নির্বাচন চলাকালীন কোনো ধরনের সংশোধন, স্থানান্তর করা যাবে না। এ সময় নতুন ভোটার হওয়ার কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে।
বর্তমানে ইসির ভোটার সার্ভারে ১১ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার ৬৬৯ ভোটার রয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকের স্ট্যাটাস জীবিত থাকার পরও মৃত দেওয়া আছে। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কোনো সেবা নিতে গেলে বিপাকে পড়ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২১
ইইউডি/জেডএ/এমআরএ