ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

এনআইডি কার্যক্রম হস্তান্তরে 'টেকনিক্যাল কমিটি' গঠন

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১
এনআইডি কার্যক্রম হস্তান্তরে 'টেকনিক্যাল কমিটি' গঠন

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে হস্তান্তরের জন্য এবার টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হলো।

মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (প্রশাসন ও অর্থ অনুবিভাগ) আহ্বায়ক করে গঠিত নয় সদস্যের ওই কমিটিতে ইসির এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালককেও রাখা হয়েছে।

সম্প্রতি সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব তরফদার মাহমুদুর রহমানের জারি করা অফিস আদেশ থেকে কমিটি গঠনের বিষয়টি জানা গেছে।

এতে কমিটির কার্যপরিধি নির্ধারণ করে দিয়ে বলা হয়েছে- জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কর্যক্রম নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তে সুরক্ষা সেবা বিভাগে আনয়নের লক্ষ্যে কারিগরি বিষয় যাচাইপূর্বক স্থানান্তরের পদ্ধতি/প্রক্রিয়া সম্পর্কে  সুপারিশ প্রণয়ন; স্থানান্তর যোগ্য অবকাঠামো/জনবল চিহ্নিত করে স্থানান্তরের পদ্ধতি সম্পর্কে সুপারিশ প্রণয়ন; এতদসংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বিষয়াদি; নির্বাচন কমিশন হতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কর্যক্রম সুরক্ষা সেবা বিভাগে হস্তান্তরের জন্য একটি সুপরিকল্পিত রোডম্যাপ প্রণয়ন ও কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের একজন প্রতিনিধি (যুগ্মসচিবের নিচে নয়), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন প্রতিনিধি, অর্থ বিভাগের একজন প্রতিনিধি (যুগ্মসচিবের নিচে নয়), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের একজন প্রতিনিধি (যুগ্মসচিবের নিচে নয়), বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল-এর পরিচালক (ডাটা সেন্টার) ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব (বহিরাগমন-৫)।

গত ১৭ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে এনআইডি সরিয়ে নেওয়ার জন্য মতামত দেওয়া হলে ২৪ মে ইসিকে এনআইডি ছেড়ে দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিতে বলে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ। এরপর নির্বাচন কমিশন যুক্তি তুলে ধরে এনআইডি নিজেদের কাছে রাখার পক্ষে মতামত তুলে ধরে চিঠি দেয়। পরবর্তীতে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ গত ২০ জুন ইসিকে একটি চিঠি দেয়। এতে বলা হয়-সরকার এনআইডি কার্যক্রম আইনানুগভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তাই সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা দেয় মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ।

সেই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ জুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা গণমাধ্যমকে বলেন- এনআইডি অনুবিভাগ অনেক বড় প্রতিষ্ঠান। কীভাবে নেবে-না নেবে, এ বিষয়ে অবশ্যই আলোচনা হবে। এটা তো টেবিল চেয়ার না, যে উঠিয়ে নিয়ে গেলাম। এনআইডি সেবা চলে গেলে আমাদের কার্যক্রমে অসুবিধা হবে।

তিনি বলেন, তারা নিতে চায় আমরা দেবো না, এরকমও বলা যায় না। সেই রকম অবস্থানে আমরা নেই। আমাদের বসতে হবে তাদের সঙ্গে, এটা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কথা। ...সরকার কী যুক্তিতে চায়, তাদের অবশ্যই কিছু যুক্তি আছে। আমাদেরও কিছু যুক্তি আছে, এগুলো নিয়ে ডায়লগ হবে।

সিইসির সেই বক্তব্যে পর ডায়লাগের কোনো উদ্যোগ কোনো পক্ষ থেকেই নেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। উপরন্তু কার্যক্রম ছেড়ে দেওয়ার অগ্রগতি জরুরি ভিত্তিতে জানানোর জন্য গত ১১ আগস্ট নতুন নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

আরও পড়ুন...

*ইসিকে এনআইডি স্থানান্তরের অগ্রগতি জানানোর নির্দেশ!

*এনআইডি কার্যক্রম নিতে চাইলে সংলাপে বসতে হবে: সিইসি

* ইসি থেকে এনআইডি সরানোর সিদ্ধান্ত সরকারের

*এনআইডি কার্যক্রমে কর্মকর্তারা দক্ষ, মন্ত্রিপরিষদকে ইসি

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২১
ইইউডি/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।