ঢাকা: নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম হস্তান্তরের তোড়জোরের মধ্যে বেড়েছে সেবাগ্রহীতাদের উদ্বেগ। ফলে এক মাসের ব্যবধানে আবেদন পড়েছে পাঁচ গুণ বেশি।
ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত জুলাই মাসে এনআইডি সংশোধনের আবেদন পড়েছিল ২৬ হাজার ২৭৫টি ও নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন পড়েছিল ২১ হাজার ৫৮১টি। আর আগস্ট মাসে এনআইডি সংশোধনের আবেদন পড়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৮৪টি ও নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন পড়ে ৬৫ হাজার ৮৭৪টি।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগের অধীন এনআইডি কার্যক্রম নিয়ে যাওয়ার খবর মিডিয়ার আসার পর ব্যাপক চাপ পড়েছে। সেবাগ্রহীতারা মনে করছেন এনআইডি হস্তান্তর সংক্রান্ত ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য তড়িঘড়ি করে যার যা প্রয়োজন, সে সংক্রান্ত আবেদন করছেন। এছাড়া নতুন ভোটার হওয়ার জন্যও আগ্রহ বেড়েছে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. নুরুজ্জামান তালুকদার এ বিষয়ে বলেন, বিষয়টি আমরা মনিটরিং করছি। সফটওয়্যারে এ সংক্রান্ত অপশন রাখা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে প্রতিদিন ব্যাপক হারে আবেদন পড়ছে। এনআইডি হস্তান্তরের প্রক্রিয়ার কারণে এমনটি হতে পারে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনা টিকা এনআইডি ভিত্তিতে দেওয়ার ঘোষণা এলেও আবেদন বেড়েছিল বছরের শুরুতে। মাঝে সেই চাপ কমে গিয়েছিল। এখন পুনরায় বেড়েছে।
২০০৭ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকার কাজ শুরু করে ইসি। পরবর্তীতে এর ভিত্তিতে নাগরিকদের এনআইডি দেওয়ার উদ্যোগ নেয় সংস্থাটি। ২০১০ সালে যার ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। এ শাখার মাধ্যমেই দেওয়া হচ্ছে স্মার্টকার্ডও।
বর্তমানে ইসির সার্ভারে ১১ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার ৬৬৯ জন ভোটার রয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৮ হাজার ৫ জন। আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৫১ লাখ ২২ হাজার ২২৩ জন। এছাড়া ৪৪১ জন হিজড়া ভোটারের তথ্যও রয়েছে ইসির সার্ভারে।
কমিশন বলছে, এনআইডি কার্যক্রম হস্তান্তর হলে ইভিএমে ভোটগ্রহণ ছাড়া সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হতে পারে। তবে সরকার থেকে ইসির কোনো ব্যাখ্যাতেই কোনো সাড়া দেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
ইইউডি/আরবি