সাভার (ঢাকা): ধামরাইয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় সংঘর্ষের ঘটনায় নৌকার প্রার্থীর ছেলের কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে ডান হাতের আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় কমপক্ষে আরও ২০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশে সুয়াপুর বাজার ব্রিজের পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে ওই ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের সমর্থক কুটিরচর গ্রামের মো. বাবর আলী (৩৫), শিয়ালকুল গ্রামের মো. মমিনুল (৪৬), মো. দেলোয়ার হোসেন (২৮), আব্দুর রাজ্জাক (৪২) ও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছেলে সাবেক সেনা সদস্য আব্দুল হালিমসহ (৪০) আরও ১০-১৫ জন আহত হন।
আহত আব্দুল হালিম বলেন, 'দুপুরের দিকে মিছিল নিয়ে যাবার সময় অতর্কিতে হামলা চালায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেন ও তার কর্মীরা। এ সময় সোহরাব তার কোমড় থেকে পিস্তল বের করে আমার কপালে ঠেকিয়ে হুমকি দেয়। একই সঙ্গে পাশে থাকা আরেকজন কোপ দিয়ে আমার দুই আঙুল কেটে ফেলে। '
নৌকার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা কফিল উদ্দিন বলেন, 'আমাকে দল মনোনয়ন দিয়েছে। আমি প্রচারণায় যাচ্ছিলাম। এমন সময় সোহরাবের লোকজন হামলা চালায়। আমার ছেলের আঙ্গুল কেটে ফেলে। এছাড়া দেশীয় অস্ত্রসহ আমার আরও ৮-১০ জন কর্মীকে কোপায় তারা। আহত সবাই ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। '
এ বিষয়ে জানতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহরাব হোসেনকে ফোন করা হলে তার ড্রাইভার কল রিসিভ করে বলেন, 'স্যার ব্যস্ত। কথা বলবেন না। '
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সাকিমুদ্দিন বলেন, 'দুপুরের দিকে আমরা বাজারে কথাবার্তা বলছিলাম। তখনই নৌকার লোকজন এসে ঝামেলা করে। এতে চেয়ারম্যানসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। '
এ বিষয়ে ধামরাই থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশের দু'টি টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি, তারা সেখানে অবস্থান করছে৷ এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি, পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বলেন, আমরা ঘটনাটি মৌখিকভাবে শুনেছি। এখনও কোনো পক্ষ আমাদের কাছে অভিযোগ দেয়নি৷ তবে পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে পুলিশ অবস্থান করছে। কেউ অভিযোগ করলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২১
এমএমজেড