ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

৭ম ধাপের নয় পৌর ভোটের ট্রাইব্যুনাল গঠন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২১
৭ম ধাপের নয় পৌর ভোটের ট্রাইব্যুনাল গঠন

ঢাকা: সদ্য অনুষ্ঠিত সপ্তম ধাপের নয়টি পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল বাতিল কিংবা কোনো অপরাধের বিচার কাজ সম্পন্ন করতে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে।

ইসি আইন শাখা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এর সমন্বয়ে “নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল” এবং জেলা ও দায়রা জজ এর সমন্বয়ে “নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনাল’’ গঠন করে দিয়েছে ইসি।

গত ২ নভেম্বর যে নয়টি পৌরসভাতে সপ্তম ধাপের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এগুলো হলো- নীলফামারীর ডোমার, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, নড়াইলের লোহাগড়া, ফেনীর ছাগলনাইয়া, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, নরসিংদীর ঘোড়াশাল, বগুড়ার সোনাতলা, খাগড়াছড়ির রামগড় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা।

আইন অনুযায়ী, ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে হবে ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে। ট্রাইব্যুনালে আবেদন জমা পড়লে আবেদন নিষ্পত্তি করা হবে ১৮০ দিনের মধ্যে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে কেউ সন্তুষ্ট না হলে, সে রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আবার আপিল ট্রাইব্যুনালে যাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে আপিল ট্রাইব্যুনালও আবেদনের ১৮০ দিনের মধ্যে রায় দেবেন।

ট্রাইব্যুনালে যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী এবং যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে দুই পক্ষই আবেদন করতে পারবে। অনিয়মের জন্য ‘নির্বাচিত প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল এবং সামগ্রিক নির্বাচন বাতিলের আবেদন করা যাবে। ’ এক্ষেত্রে অপরাধ সংঘঠিত হওয়ার স্থান, সময় ও তারিখ স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে আবেদনকারীকে। উভয় পক্ষের শুনানির পর ট্রাইব্যুনাল বা আপিল ট্রাইব্যুনাল যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটাই চূড়ান্ত হবে।

নির্বাচিত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ হলে, নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য হলে, দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে ভোটের ফল অর্জন বা ফল অর্জনের জন্য কার্যকলাপ বা আচরণ করা হলে, নির্বাচিত প্রার্থী তার এজেন্ট বা অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যোগসাজশ করে কোনো দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপ বা বে-আইনি আচরণ করলে এবং নির্বাচনী ব্যয়সীমা লঙ্ঘন করলে ট্রাইব্যুনাল নির্বাচিত প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল করতে পারবেন। আবেদনকারী শুনানিতে হাজিরা দিতে না এলে বা অনুপস্থিত থাকলে আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।

আবেদনকারী শুনানির যে কোনো সময় আবেদন বা আপিল প্রত্যাহার করতে পারবেন। এছাড়া আবেদনকারী মৃত্যুবরণ করলে আবেদন বা আপিল বাতিল হয়ে যাবে। ট্রাইব্যুনাল বা আপিল ট্রাইব্যুনালের খরচ আবেদনকারীকেই বহন করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২১
ইইউডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।