সিলেট: দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিলেটের তিন উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে নৌকার ১০ বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ।
এরমধ্যে সিলেট সদর উপজেলার দু’টি ইউনিয়নে ৫ জনকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে ৪ জনকে এবং বালাগঞ্জ উপজেলার ১টি ইউনিয়নে একজনকে বহিষ্কার করা হয়।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট সদর উপজেলার ২টি ইউনিয়নের ৫ জন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করায় জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা ১১ উপধারা অনুযায়ী শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্টদের নিজ নিজ পদ ও প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে সরাসরি বহিষ্কার করা হয়েছে। একই ধারায় কোম্পানীগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ৫ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বহিষ্কার করে। পরবর্তী কার্যক্রম ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ বরাবরে পাঠানো হলো।
সিলেট সদর উপজেলায় বহিষ্কৃত ব্যক্তিরা হলেন- ১ নম্বর জালালাবাদ ইউনিয়নের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশ্রব আলী, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ সিদ্দিকী, আওয়ামী লীগের ফ্রান্স শাখার সদস্য জয়নাল আবেদীন ও ৭ নম্বর মোগলগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মো. আছন মিয়া।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ৩টি ইউনিয়নে বহিষ্কৃতরা হলেন- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ২ নম্বর পূর্ব ইসলামপুর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইলিয়াছুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ২ নম্বর পূর্ব ইসলামপুর ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও ৩ নম্বর তেলিখাল ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী আবদুল ওয়াদুদ আলফু মিয়া, ৫ নম্বর রণিখাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরিদ উদ্দিন।
এছাড়াও বালাগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১ নম্বর পূর্ব পৈলনপুর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবদুল মতিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২১
এনইউ/এমআরএ