রাজশাহী: রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলা দ্বিতীয় দফার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সেখানে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
এ দুই উপজলার ১৫ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) বিরতিহীনভাবে ভোট নেওয়া হবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এর আগেই সকল প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন অফিস। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। তবে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে কোথাও এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর ৯টি উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ১১ হাজার ৮৬৯ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৬ হাজার ৪২৭ এবং পুরুষ ১ লাখ ৫ হাজার ৪৪২ জন। এ উপজেলায় ৯টি ইউনিয়নে মোট ৩২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ৯ জন। এছাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনে ১০৩ জন এবং সাধারণ সদস্য হিসেবে ৩২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আজকের ইউপি নির্বাচনে।
এদিকে, তানোরের ৭টি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার ৮৮৫ জন। এরমধ্যে নারী ৫৪ হাজার ৮৮৫ এবং পুরুষ ৫৭ হাজার। এ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মোট ৩০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ৭ জন। এছাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনে ৬৮ জন এবং সাধারণ সদস্য হিসেবে ২৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে উচ্চাদলতের নির্দেশে রাজশাহীর তানোরে একটি ইউপির ভোট স্থগিত করা হয়েছে। সেটি হচ্ছে সরনজাই ইউনিয়ন। তাই এখানে বর্তমানে ৬টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হচ্ছে। গোদাগাড়ী ও তানোর মিলিয়ে রাজশাহীর মোট ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, দুই ইউনিয়ন পরিষদে মোট ১৬৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে গোদাগাড়ীর ৯৫টি ও তানোরে ৬৮টি ভোট কেন্দ্রে একযোগে ভোট নেওয়া হচ্ছে। যেখানে মোট ১৬৩ জন প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন। গোদাগাড়ীতে ৩৫ টি এবং তানোরে ৪৩টিসহ মোট ৭৮টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরিচালনায় তারা বদ্ধপরিকর। তারা সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার সঙ্গে ভোটগ্রহণ শেষ করতে চান। দুই উপজেলার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোট চলছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইখতে খায়ের আলম জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দু’টি উপজেলায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন পরিচালনা করতে পুলিশ বাহিনী তৎপর রয়েছে। একই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ৯টি ও তানোরের ৬টি ইউনিয়ন পরিষদে একযোগে ভোট নেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিলো ১৭ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়েছে ২০ অক্টোবর। বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা হয় ২১ ও ২৩ অক্টোবর। ২৪ থেকে ২৫ অক্টোবর আপিল নিষ্পত্তি শেষে ২৬ থেকে ২৭ অক্টোবর প্রার্থীতা প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২১
এসএস/জেডএ