চাঁদপুর: দ্বিতীয় ধাপে চাঁদপুর সদর উপজেলার নয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণে বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নে সাধারণ ইউপি সদস্যদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলা সদর উপজেলার আশিকাটি, রামপুর, শাহমাহমুদপুর, মৈশাদী, বিষ্ণুপুর, তরপুরচণ্ডী, বাগাদী, বালিয়া, চান্দ্রা ইউনিয়নে একটানা ভোটগ্রহণ হয়। সকাল থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা থাকার কারণে, বড় ধরনের কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। তবে দুপুর ২টার পর থেকে সাধারণ ইউপি সদস্যদের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
আটক সাতজন হলেন- মৈশাদী এলাকার মামুন, তামীম, মো. ইমাম হোসেন ও রুবেল। অন্য বহিরাগত আটক তিন যুবকের নাম পুলিশ জানায়নি।
বিকেল ৩টার দিকে মৈশাদী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও মৈশাদী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ইউপি সদস্য প্রার্থীদের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মহড়া দিচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া খেয়ে তারা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ওই সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় দুই যুবককে এক প্যাকেট নিষিদ্ধ পটকাসহ আটক করা হয়।
মৈশাদীতে দায়িত্ব থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাছির বাংলানিউজকে বলেন, মৈশাদী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে দুই সাধারণ ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। ওই স্থান থেকে দেশীয় একটি ছুরিসহ পাঁচ জনকে আটক করা হয়। পাঁচজন এবং পটকাসহ আটক দু’জনসহ সাত জনকে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় পাঠানো হয়।
এদিকে, রামপুর ইউনিয়নের কামরাঙ্গা কেন্দ্রে ফুটবল মার্কার সাধারণ ইউপি সদস্য সাঈদ ও চাপকল মার্কার প্রার্থী অলি আহমেদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত কামরাঙ্গা গ্রামের রাকিব (২৫) ও আজিজ দুলালকে (৩৫) চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এছাড়াও সহিংসতা চেষ্টাকালে বাগাদী ইউনিয়নের বাগাদী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দু’জনকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও চান্দ্রা ইউনিয়নে ১ নম্বর মাদরাসা কেন্দ্র থেকে দু’জন ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকে আটক করে পুলিশ।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনী কাজে এখনও থানার বাইরে আছি। আটকদের বিষয়ে জেনে পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২১
এসআরএস