ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ময়মনসিংহে স্বতন্ত্র ১৭, নৌকা ১০টিতে বিজয়ী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২১
ময়মনসিংহে স্বতন্ত্র ১৭, নৌকা ১০টিতে বিজয়ী

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনটি উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের ফলাফলে আওয়ামী লীগ ১০টিতে এবং ১৭টিতে বিজয়ী হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পর গণনা শেষে রাতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা বেসরকারিভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।

বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ‍্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ৮ ও স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির ৮ জন এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়াও কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগে ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে ফুলবাড়ীয়া ও ধোবাউড়া উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন।

এগুলো হল- ফুলবাড়িয়া উপজেলার কুশমাইল ও আছিম পাটুলী ইউনিয়ন এবং ধোবাউড়া উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়ন।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ১৩টি, হালুয়াঘাটের ১০টি এবং ধোবাউড়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।  

সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাদের বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ীরা হলেন- ফুলবাড়িয়া উপজেলার দেওখোলা ইউনিয়নে তাজুল ইসলাম বাবলু, রাধাকানাই ইউপিতে গোলাম কিবরিয়া শিমুল তরফদার, ভবানীপুর ইউপিতে জবান আলী সরকার ও এনায়েতপুর ইউপিতে বুলবুল হোসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন।  
অপরদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে নাওগাঁও ইউনিয়নে মোজাম্মেল হক, ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নে জয়নাল আবেদীন বাদল, রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নে মুক্তা চৌধুরী ও কালাদহ ইউনিয়নে নজরুল ইসলাম মাষ্টার বিজয়ী হয়েছেন।

এদিকে বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও দলটির নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ফুলবাড়িয়ার চারটি ইউপিতে বিজয়ী হয়েছেন।  
তারা হচ্ছেন- পুটিজানা ইউনিয়নে সাইদুর রহমান রয়েল, বালিয়ান ইউপিতে ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান পলাশ, বাকতা ইউপিতে ফজলুল হক মাখন।  
হালুয়াঘাট উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ, দুইটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও তিনটিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী স্বতন্ত্র হয়ে জয়ী হয়েছেন।  
নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হচ্ছেন-  ভুবনকুড়া ইউনিয়নে এম সুরুজ মিয়া, জুগলী ইউনিয়নে মোহাম্মদ সামাদুল ইসলাম, গাজিরভিটা ইউনিয়নে আব্দুল মান্নান, ধারা ইউনিয়নে তোফায়েল আহমেদ বিপ্লব ও ধুরাইল ইউনিয়নে ওয়ারিছ উদ্দিন সুমন।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে নড়াইল ইউপিতে আনোয়ার হোসেন মানিক ও স্বদেশী ইউপিতে জিহাদ সিদ্দিকী ইরাদ জয়ী হয়েছেন।

এছাড়াও স্বতন্ত্র হিসেবে জয়ী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা হচ্ছেন- বিলডোরা ইউনিয়নে সাবজাল হোসেন খান, শাকুয়াই ইউনিয়নে ইঞ্জিনিয়ার ইউনুছ আলী খান, আমতৈল ইউনিয়নে শফিকুর রহমান শফিক।

ধোবাউড়া উপজেলার সাত ইউনিয়নে নির্বাচন হলেও বাঘবেড় ইউনিয়নে ব্যালট বাক্স ছিনতাই হওয়ায় ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে বাকী ছয় ইউপির মধ্যে একটিতে আওয়ামী লীগ, দুইটিতে নৌকার বিদ্রোহী, একটিতে স্বতন্ত্র ও দুই ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেন।  
নির্বাচিতরা হচ্ছেন- ধোবাউড়া ইউনিয়নে নজরুল ইসলাম মুকুল (নৌকা), গামারীতলা ইউনিয়নে আনোয়ার হোসেন খান (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও বর্তমান চেয়ারম্যান), ঘোঁষগাও ইউনিয়নে হারুন অর রশিদ (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী)।

অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নে মঞ্জুরুল হক, গোয়াতলা ইউনিয়নে জাকিরুল ইসলাম তলুকদার টুটন ও দক্ষিণ মাইজপাড়া হুমায়ূন কবির সরকার জয়লাভ করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২১
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।