ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

দ্বিতীয় ধাপের ইউপি ভোটের ট্রাইব্যুনাল গঠন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
দ্বিতীয় ধাপের ইউপি ভোটের ট্রাইব্যুনাল গঠন

ঢাকা: সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে যেকোনো নির্বাচনী অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে আবেদন করা যাবে।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট জেলার সিনিয়র সহকারী জজকে নিয়ে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ এবং জেলা ও দায়রা জজকে নিয়ে ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করেছে ইসি।

দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৩টি ইউপিতে গত ১১ নভেম্বর ভোটগ্রহণ করে ইসি। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ হাজার ৩১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া সংরক্ষিত সদস্য পদে ৯ হাজার ১৬১ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৮ হাজার ৭৪৭ জন অর্থাৎ মােট ৪১ হাজার ২১৮ প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে করেন।

আইন অনুযায়ী, ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে হবে ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে। ট্রাইব্যুনালে আবেদন জমা পড়লে আবেদন নিষ্পত্তি করা হবে ১৮০ দিনের মধ্যে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে কেউ সন্তুষ্ট না হলে, সে রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আবার আপিল ট্রাইব্যুনালে যাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে আপিল ট্রাইব্যুনালও আবেদনের ১৮০ দিনের মধ্যে রায় দেবেন।

যেকোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে দুই পক্ষই আবেদন করতে পারবে। অনিয়মের জন্য ‘নির্বাচিত প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল এবং সামগ্রিক নির্বাচন বাতিলের আবেদন করা যাবে। এক্ষেত্রে অপরাধ সংঘঠিত হওয়ার স্থান, সময় ও তারিখ স্পষ্ট করে উল্লেখ করবে আবেদনকারীকে।

উভয়পক্ষের শুনানির পর ট্রাইব্যুনাল বা আপিল ট্রাইব্যুনাল যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটাই চূড়ান্ত হবে।

নির্বাচিত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ হলে, নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য হলে, দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে ভোটের ফল অর্জন বা ফল অর্জনের জন্য কার্যকলাপ বা আচরণ করা হলে, নির্বাচিত প্রার্থী তার এজেন্ট বা অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যোগসাজশ করে কোনো দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপ বা বেআইনী আচরণ করলে এবং নির্বাচনী ব্যয়সীমা লঙ্ঘন করলে ট্রাইব্যুনাল নির্বাচিত প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল করতে পারবেন। আবেদনকারী শুনানিতে হাজিতা দিতে না এলে বা অনুপস্থিত থাকলে আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।

আবেদনকারী শুনানির যেকোনো সময় আবেদন বা আপিল প্রত্যাহার করতে পারবেন। এছাড়া আবেদনকারী মৃত্যুবরণ করলে আবেদন বা আপিল বাতিল হয়ে যাবে। ট্রাইব্যুনাল বা আপিল ট্রাইব্যুনালের খরচ আবেদনকারীকেই বহন করতে হবে।

ট্রাইব্যুনালের তালিকা দেখতে ক্লিক করুন:

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
ইইউডি/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।