মানিকগঞ্জ: তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আটিগ্রামে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আপন চাচা-ভাতিজা। এ নিয়ে ওই ইউনিয়নে ব্যাপক আলোচনা সমালচনার ঝড় বইছে চায়ের দোকানগুলোতে।
চলতি মাসের ২৮ নভেম্বর জেলা সদর উপজেলার ১০টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আটিগ্রাম ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. নূরে আলম সরকার (নৌকা প্রতীক) ও তার আপন বড় ভাইয়ের ছেলে মো. গাজী সালাহউদ্দীন টিটু (মোটরসাইকেল প্রতীক) ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। চাচা-ভাতিজার এ ভোট যুদ্ধে ইউনিয়নটির সাবেক আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী নারগীস আক্তার (আনারস প্রতীক) নিয়ে লড়াই করছেন।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানায়, তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৩৭ জন প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় জাগীর ইউপিতে জাকির হোসেন ও গড়পাড়া ইউপিতে আফসার উদ্দীন সরকার পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ১০টি ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে ৩৩৩ জন পুরুষ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১০৭ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আটিগ্রাম ইউপি নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী গাজী সালাহউদ্দীন টিটু বাংলানিউজকে বলেন, আমার বাবা এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থাকাকালীন মারা যান। বাবা যখন মারা যান, তখন আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদালয়ের (জবি) ছাত্র ছিলাম। ফলে আমার চাচা বর্তমানে (নৌকা) মো. নূরে আলম সরকার উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আমার লেখাপড়া শেষ হলে আমি গ্রামে চলে আসি। এরপর থেকে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছি ধীর্ঘ বছর। প্রতিবার নির্বাচন এলে চাচা আমাকে বলতেন- এবারই শেষ, তার কিন্তু তিনি কোনোভাবেই আমাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিচ্ছিলেন না। এবছর গণমানুষের অনুরোধে আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আমার অনেক সমর্থককে নানাভাবে চাপ প্রযোগ করছেন চাচার অনুসারিরা। তবে চাপ প্রযোগ করে কোনো লাভ হবে না। কারণ আমার বাবার ভালো কাজের জন্য এবার আমাকে সাধারণ জনগণ বিজয়ী করবে বলে আমার বিশ্বাস।
এ ব্যাপারে কথা বলতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. নূরে আলম সরকারকে ফোন করলে তিনি কল রিসিভ করেন এবং সংবাদকর্মীর পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
এসআরএস