ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

শিগগির সংসদে উঠছে ইসি গঠনের আইন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২১
শিগগির সংসদে উঠছে ইসি গঠনের আইন ফাইল ফটো

ঢাকা: নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের আইন সংসদে শিগগিরই আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তবে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করা যাবে না বলে তিনি জানান।

রোববার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারক (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) বিল-২০২১ বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের ওপর বিরোধী দলের সদস্যদের বক্তব্যের পর আইনমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

এর আগে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু ও বিএনপির হারুনুর রশিদ নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের কথা বলেন। চুন্নু এই আইনটির পাশাপাশি উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগেও আইন করার দাবি করেন। বর্তমান কে এম নূরুল হুদা কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। এরপর নতুন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করবে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিচারক নিয়োগ আইন এবং নির্বাচন কমিশন গঠন দুটি আইনেরই খসড়া করা হচ্ছে। সম্প্রতি সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের প্রতিনিধিরা আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। তারা একটা আইনের ড্রাফট (নির্বাচন কমিশন গঠনে) করেছে, সেটা দিতে এসেছিলেন। উনারা বলেছিলেন, এটাতে সবই আছে। এটা অধ্যাদেশ আকারে করে দিলেও তো হয়ে যায়। তখন আমি পরিষ্কারভাবে বলেছি, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এই আইন সংসদে আলোচিত না হওয়া পর্যন্ত আইনটি করা ঠিক হবে না। এতে আমি বোধহয় সংসদ সদস্যদের সম্মান কমাইনি, বাড়িয়েছি। আমি মনে করি, এটা সংসদে আলোচিত হওয়া উচিত। আমার পরিকল্পনা এর (চলতি সংসদের) পরের সংসদ বা তার পরের সংসদে আমরা এটা আলাপ করবো। কিন্তু অন্য আনুসঙ্গিক কাজ তাড়াহুড়া করে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করা যাবে না বলেই আমি বলেছি। প্রাকটিক্যাল স্পিকিং অ্যান্ড স্পিকিং দ্য ট্রুথ ইজ দ্য রাইট থিং। সেই জন্য আমি আশ্বস্ত করিনি। তবে দুটোই আমরা করার চেষ্টা করছি।

বাংলাদেশে সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২১
এসকে/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।