কুড়িগ্রাম: তৃতীয় দফায় রোববার (২৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে কোনো ভোট পাননি রামখানা ইউপির টিউবওয়েল প্রতীকের সদস্য প্রার্থী নজরুল ইসলাম।
নিজে প্রার্থী হয়ে ভোট না পাওয়ার বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
প্রতীক পাওয়ার পর পোস্টার ছেপে বিজয়ী হতে অন্যান্য প্রার্থীর মতো কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভোটের প্রচারণাও করেন তিনি। রোববার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানে তার পুলিং এজেন্টও ছিল। অথচ দিন শেষে গণনা করে দেখা গেছে, তিনি একটি ভোটও পাননি। তাহলে তিনি, তার স্ত্রী, পরিবারের অন্যান্য সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, তার শুভাকাঙ্ক্ষী, কর্মী-সমর্থক ও এজেন্ট কেউই কী তাকে ভোট দেননি।
এ ঘটনায় হতভম্ব এলাকার মানুষ। আদৌ তা সম্ভব কিনা। নজরুল টিউবওয়েল প্রতীকে কোনো ভোট না পেলেও তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নুরজামাল শেখ ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ৭১৬, ফজলে রহমান বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৪, সফিকুল ইসলাম তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৮৭৭ ভোট। ভোটের এ ফলাফলে কোনোভাবে হিসেব মেলাতে পারছেন না প্রার্থী নজরুল।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত। নজরুল অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে বলেন, যদি কর্মী-সমর্থকরাও আমাকে ধোকা দিয়ে থাকেন তাহলে আমি, আমার স্ত্রী মেহরা খাতুন, বড় ছেলে মফিজুল ইসলাম, তার স্ত্রী কল্পনা খাতুন, মেজ ছেলে এনামুল হক, তার স্ত্রী ফরিদা বেগমসহ রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়-স্বজনরা অনেকেই আমাকে ভোট দেন। প্রায় দেড়শ থেকে দুইশ ভোট আমি নিশ্চিত পাওয়ার কথা। সেখানে শূন্য ভোট হয় কীভাবে। আমি এটা মেনে নিতে পারছি না। তাই আমি সংশ্লিষ্ট অফিসে ভোট পুনঃগননার আবেদন জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন আবেদন পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, এটি আইনিভাবে মোকাবিলা করার জন্য তাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২১
আরবি