ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচনের একদিন পরেও ব্যালট মানুষের হাতে হাতে!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২১
নির্বাচনের একদিন পরেও ব্যালট মানুষের হাতে হাতে!

ফেনী: সারাদেশের মতো ফেনীতেও তৃতীয় ধাপের নির্বাচন শেষ হয়েছে। তবে ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হলেও নির্বাচনের দিন দুপুর থেকে একটি  ব্যালট বইয়ের ২০টি সিলযুক্ত ব্যালট এলাকাবাসীর কাছে রয়েছে।

বুধবার (৩০নভেম্বর) সকালে ওই এলাকার স্থানীয়রা জানায়, ইউনিয়নটি সত্যনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ফুটবল প্রতীকের সমর্থকরা সিল মেরে বক্সে ঢুকানোর সময় প্রতিবাদের মুখে ফেলে রেখে চলে যায়। যা এলাকার লোকজন পরবর্তীতে ভিডিও করে ভাইরাল করে। স্থানীয়রা পুনঃনির্বাচন চাইলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা বলছেন, এমনটি হলে ক্ষতিগ্রস্তদের ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

সিল দেওয়া ব্যালটগুচ্ছ। ভোটের পর এগুলো থাকার কথা নির্বাচন অফিসে। অথচ, তার ২০ টি পাতা এই এলাকার সাধারণ মানুষের হাতে-হাতে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।

স্থানীয়রা বলছেন প্রভাব বিস্তার করে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী ভোট ডাকাতি করেছেন।

ছাগলনাইয়ার মহামায়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডটি সত্যনগর আর জয়নগর এই দুটি গ্রাম নিয়ে গঠিত । এরমধ্যে, সত্যনগর এলাকার মানুষ পেয়েছেন পাতাগুলো। তাদের দাবি, কেন্দ্রের সামনেই পড়ে ছিল এগুলো। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী ছিলেন ৭ জন। তাদের মধ্যে একজন জাসদ, বাকিরা আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা। তাদের মধ্যে ৬ প্রার্থীর দাবি, সিলমারা ব্যালটগুচ্ছ ফুটবল প্রতীকের নুর করিম সবুজের। তিনি প্রভাব বিস্তার করে জয় পেয়েছেন।  
এ বিষয়ে চেষ্টা করেও অভিযুক্ত প্রার্থী নুর করিম সবুজের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে  উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকে মেজবাউল হায়দার সোহেলের দাবি-প্রার্থীদের শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তারা নির্বচনের দিন ভোট দিয়েই কেন্দ্র থেকে সরে গিয়েছিলেন।


রিটার্নিং কর্মকর্তা মো জসিম উদ্দিন জানালেন, ব্যলটগুলি সেই কেন্দ্রের হয়ে থাকলে পরাজিত প্রার্থীরা চাইলে ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে পারেন। এ ওয়ার্ডটিতে মোট ভোটার ৩ হাজার ৩০৯ জন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২১ 
এসএইচডি/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।