ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

তৃতীয় ধাপ: ইউপি ভোটের ট্রাইব্যুনাল গঠন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২১
তৃতীয় ধাপ: ইউপি ভোটের ট্রাইব্যুনাল গঠন ...

ঢাকা: সদ্য অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপের ৯৯৯টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা নির্বাচনী যেকোনো অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবেন।

সংশ্লিষ্ট জেলার সিনিয়র সহকারী জজকে নিয়ে ‘নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল’ এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজকে নিয়ে ‘নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করা হয়েছে। ইসির আইন শাখার উপ-সচিব আফরোজা শিউলী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

গত ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৫৬৯ জন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১০০ জন, সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে ১৩২ জন ও ৩৩৭ জন সাধারণ সদস্য পদে বিনা ভোটে বিজয়ী হন।

এই ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৩ হাজার ৩১০ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৯ হাজার ১৬১ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৮ হাজার ৭৪৭ জন অর্থাৎ মোট ৪১ হাজার ২১৮ প্রার্থী ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এদের কেউ বা তাদের পক্ষে যেকোনো ব্যক্তি ট্রাইব্যুনালে যেতে পারবেন।

আইন অনুযায়ী, নির্বাচনী ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে হয়। ট্রাইব্যুনাল তা ১৮০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে কেউ সন্তুষ্ট না হলে, সেই রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আবার আপিল ট্রাইব্যুনালে যাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে আপিল ট্রাইব্যুনালও আবেদনের ১৮০ দিনের মধ্যে রায় দেবেন।

অনিয়মের জন্য ‘নির্বাচিত প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল এবং সামগ্রিক নির্বাচন বাতিলের আবেদন করা যাবে। ’ এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অপরাধ সংঘঠিত হওয়ার স্থান, সময় ও তারিখ স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে। উভয় পক্ষের শুনানির পর ট্রাইব্যুনাল বা আপিল ট্রাইব্যুনাল যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটাই চূড়ান্ত হবে।

নির্বাচিত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ হলে; নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য হলে; দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে ভোটের ফল অর্জন বা ফল অর্জনের জন্য কার্যকলাপ বা আচরণ করা হলে; নির্বাচিত প্রার্থী তার এজেন্ট বা অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যোগসাজশ করে কোনো দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপ বা বেআইনী আচরণ করলে এবং নির্বাচনী ব্যয়সীমা লঙ্ঘন করলে ট্রাইব্যুনাল নির্বাচিত প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল করতে পারবেন।

আবেদনকারী শুনানিতে হাজিরা দিতে না এলে বা অনুপস্থিত থাকলে বা মৃত্যুবরণ করলে আবেদন বা আপিল বাতিল হয়ে যাবে।

আবেদনকারী শুনানির যেকোনো সময় আবেদন বা আপিল প্রত্যাহার করতে পারবেন। এছাড়া ট্রাইব্যুনাল বা আপিল ট্রাইব্যুনালের খরচ আবেদনকারীকেই বহন করতে হবে।

ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনালের প্রজ্ঞাপন দেখতে ক্লিক করুন: প্রজ্ঞাপন

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২১
ইইউডি/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।