ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

আদালতে মৃত ব্যক্তি আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২১
আদালতে মৃত ব্যক্তি আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী! মোস্তাফিজুর রহমান।

জামালপুর: জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে। ঋণের দায় থেকে অব্যাহতি পেতে অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে নিজেকে মৃত দেখিয়ে ঋণ থেকে দায়মুক্তিরও অভিযোগ রয়েছে।

মাদারগঞ্জের গুনারীতলা ইউনিয়নের আবু শোয়েব নামে একজন ভোটার বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) জামালপুর জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ফাতেমা আফসার এগ্রো কমপ্লেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্যুইটি এন্ড অন্ট্র্যাপ্র্যানারশীপ ফান্ড (ইইএফ) ইউনিট-ইইএফ (ব্যবস্থাপনায় ইনভেষ্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ) এর সহায়তায় ২০১২ সালের ২৯ এপ্রিল ৩০ লাখ, একই বছরের ১৬ অক্টোবর ৫১ লাখ ও ২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর ২১ লাখ ২১ হাজারসহ সর্বমোট ১ কোটি ২ লাখ ২১ হাজার টাকা ঋণ নেন। নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধ না করায় খেলাপী হন।

ঋণ খেলাপী ও ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় মোস্তাফিজুরসহ ৫ জনের নামে ঢাকার পঞ্চম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি হয়। মামলা ও ঋণ থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় তিনি মারা গেছেন মর্মে আদালতে মৃত্যুর সনদ দেওয়া হয়।

২০২০ সালের ৩ মার্চ আদালতকে অবহিত করা হয় মোস্তাফিজুর রহমান ও তার বাবা আফছার আলী মিয়া মারা গেছেন। আফছার আলীর মৃত্যুর খবর সঠিক থাকলেও মোস্তাফিজুরের মৃত্যুর খবরটি মিথ্যা।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মাদারগঞ্জের মোসলেমাবাদ গ্রামের মৃত আফছার আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর ঋণ খেলাপী ও মামলার তথ্য গোপন করে গুনারীতলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। গত ২৯ নভেম্বর যাচাই বাছাইয়ের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন না করায় তিনি বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হন। তথ্য গোপন করে তিনি স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৪(জ) উপধারা লঙ্ঘন করেছেন।

এ ব্যাপারে গুনারীতলা ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজেকে অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান না বলে দাবি করেন। তিনি নিজেকে মোস্তাফিজুর রহমান সাজু বলেন এবং উল্লেখিত নামের কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো দিন জড়িত ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলাও হয়নি বলে জানান।

এ ব্যাপারে জামালপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোনো প্রার্থী প্রতারণার আশ্রয় নিলে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩ , ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।