ঢাকা: টাঙ্গাইল-৭ আসনের নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্বরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পূর্বানুমতি না নিয়ে বদলি না করার জন্য বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ১৬ জানুয়ারি এ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত সম্প্রতি জারি করা এক পরিপত্র থেকে বিষয়টি জানা গেছে। পরিপত্রের কপি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৪৪ই অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে ৪৪ই অনুচ্ছেদে উল্লিখিত কর্মকর্তাদের স্ব স্ব কর্মস্থল থেকে বদলি করা যাবে না।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৫(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষের অবশ্য কর্তব্য।
নির্বাচনী সময়সূচি জারির পর কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৩নং আইন) এর ৪(৩) ধারা অনুসারে নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা/কর্মচারী স্বীয় চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রেষণে নিয়োজিত আছেন বলে বিবেচিত হবেন।
ওই আইনের ৪(২) ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি নির্বাচন কর্মকর্তা নিযুক্ত হলে তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে কোনো দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে বাধা দিতে বা বিরত রাখতে পারবেন না।
তফসিল অনুযায়ী, এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৫ ডিসেম্বর। ২০ ডিসেম্বর বাছাই, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৭ ডিসেম্বর। আর ভোটগ্রহণ ১৬ জানুয়ারি।
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন গত ১৬ নভেম্বর মৃত্যুকরণ করলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। পরবর্তীতে ভোটের আয়োজনে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
একাব্বর হোসেন ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
ইইউডি/আরবি