ঢাকা: আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার কাজ চালানোর জন্য ১৮ দিন সময় দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি), যা বিগত নির্বাচনের চেয়ে দু’দিন বেশি।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সিটিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর।
ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণের ৩২ ঘণ্টা পূর্বে প্রচার কাজ শেষ করতে হয়। আর প্রচার শুরু হয় প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকে। এবার প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৮ ডিসেম্বর।
ইতোমধ্যে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে প্রচার কাজ না চালাতে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে সব প্রার্থীদের বিষয়টি অবগত করতে। এক্ষেত্রে প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি প্রচার চালালে তা হবে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। আর এজন্য জরিমানাসহ প্রার্থিতা বাতিলের বিধান রয়েছে আইনে।
তফসিল অনুযায়ী, বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। ২০ ডিসেম্বর বাছাই, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৭ ডিসেম্বর।
গতবার বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও একজন স্বতন্ত্রসহ মোট সাত প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। আর এবার আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র থেকে জমা দিয়েছেন তিনজন প্রার্থী। এদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা (স্বতন্ত্র) অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারও রয়েছেন। আর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান মনোনয়নপত্র তুললেও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে তা জমা দেননি। তিনি গত নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন।
এবার দলের প্রার্থীরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াত আইভী, খেলাফত মজলিশের এ বিএম সিরাজুল মামুন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাসুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস। আর স্বতন্ত্র থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ ও মো. কামরুল ইসলাম। এদিকে কাউন্সিলর পদে দুই শতাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নির্বাচনে মেয়র পদ ছাড়াও ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে মোট ভোটার রয়েছে ৫ লাখের মতো।
২০১১ সালে সিটি করপোরেশন হিসেবে যাত্রা শুরুর পর এবার হচ্ছে তৃতীয় নির্বাচন। প্রথমবার ৯টি ওয়ার্ডে ইভিএমে, বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে ভোট হয়। ২০১৬ সালে সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে এবং এবার ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। প্রথমবার নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হয় এ সিটিতে। দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন চালুর পর এটি দ্বিতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:
মেয়র পদে আইভী-তৈমুরের মনোনয়নপত্র জমা
এনসিসি ভোট: মনোনয়ন দাখিলের সময় শেষ বুধবার
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
ইইউডি/এনএসআর