ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ইসির ভাবমূর্তি শূন্যের কোঠায়: তৈমুর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
ইসির ভাবমূর্তি শূন্যের কোঠায়: তৈমুর কথা বলছেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

নারায়ণগঞ্জ: ‘সেবার দলের প্রার্থী ছিলাম আমি এবার জনগণের প্রার্থী। নারায়ণগঞ্জবাসী দীর্ঘদিন ধরে একজন মেয়র খুঁজছিল।

জনগণ মনে করে তারা তাদের চাহিদা মোতাবেক একজন প্রার্থী পেয়েছে। আমি জনগণের মেয়র প্রার্থী। অনেকের কাছে অভিযোগ পাওয়া যায়, কন্ট্রাক্টরদের ঠিকাদারির ব্যাবসায় পরিণত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক)। ২০১১ সালে দল আমাকে নমিনেশন দেয়। সেবার তিনি (খালেদা জিয়া) আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশে সবার চোখের পানি এড়িয়ে বসে যাই’।

কথাগুলো বলেছেন নাসিকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের ধনকুন্ডা এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেনের বাড়িতে ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজিত উঠান বৈঠক এসব কথা তিনি বলেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম রবি, নারায়ণগঞ্জ মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নারী কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার দীনা,  সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন খোকন, যুবদল নেতা সাগর প্রধান, নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক প্রধান, কৃষক দলের নেতা নুরুল ইসলাম নুরু, ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমেদ, বিএনপি নেতা আবুল কামাল মেম্বার ও যুবদল নেতা মাহবুব হোসেন প্রমুখ।

৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি শামসুদ্দিন শেখের পরিচালনায় উঠান বৈঠকে তৈমুর আলম খন্দকার আরো বলেন, এই বাড়ির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। আমার এলাকায় বিএনপির অফিসে মুজিবর নামে এক ছেলেকে হত্যা করা হয়। তখন আমি কামাল ভাইয়ের নেতৃত্বে খালেদা জিয়ার উপস্থিততিতে বিএনপিতে যোগ দেই।

১৬ ডিসেম্বর বিএনপি বিশাল সমাবেশ করেছে। আমাকে রিটার্নিং অফিসার টেলিফোনে যেতে নিষেধ করেছে তার কাথায় আমি যাইনি। কিন্তু গতকার তিনজন এমপির উপস্থিতিতে নৌকার প্রচারণা করা হয়েছে। সেখানে বিজয় দিবসের আলোচনার বদলে প্রতীক ও প্রার্থীর প্রচারণা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) বোবা ও অন্ধ হয়ে পড়লে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। আমি পুলিশ প্রশাসন জেলা প্রশাসনক ও নির্বাচন কমিশকে বলতে চাই আপনাদের ভাবমূর্তি শূন্যের কোঠায়। আপনারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে নির্বাচনটা সুষ্ঠু করার চেষ্টা করুন। এ নির্বাচনে কোন অনৈতিক কার্যকালাপ নারায়ণগঞ্জবাসী সহ্য করবেন না। আপনাদের বিবেককে সামনে রেখে দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন।

বিএনপি ২০০৩ সালে চেয়ারম্যান পদে নমিনেশন দিয়েছিল। কিন্তু সেসময় বিআরটিসির চেয়ারম্যান পদ থেকে রিলিজ না দেওয়া নির্বাচন করতে পারিনি। আমিই ২০০২ সালে নারায়ণগঞ্জকে সিটি করপোরেশন করার জন্য প্রস্তাব দেই। পরে আমিসহ দেশনেত্রী, তারেক জিয়া সবাই জেলে চলে যাই। ২০১১ সালে দল নমিনেশন দেয়। সেবার তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশে সবার চোখের পানি এড়িয়ে বসে যাই।

সিদ্ধিরগঞ্জের লেকটা সড়ক ও জনপদের জায়গায় করা হয়েছে। এ বিষয়ে এ পর্যন্ত ছয়টা চিঠি এসেছে। আমাদের চলাচলের জন্য বড় রাস্তা দরকার হয়। এটা অত্যন্ত পুরনো ও জনবহুল রাস্তা। এটা বড় করার জায়গায় তারা লেক করছে। সড়ক ও জনপদ বার বার বলেছে সিটি করপোরেশন যেন এখানে কাজটা না করে।

নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ মনে করে তারা নাগরিক সুবিধা পায়নি। যথাযথ নাগরিক সুবিধা পাওয়ার জন্যেই আমাদের এ নির্বাচন। সিটি করপোরেশন ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্সের টাকা বাড়িয়েছে। আমরা তো সব বিষয়ে কর দিচ্ছি। তারপরেও কেন কর দেব। মানুষ সারা জীবন করের বোঝা বইবে এটা তো হতে পারে না। এবার কেন্দ্র দখল ও এজেন্ট বের করে দেওয়া সম্ভব নয়। এখানে কোন কারচুপি হলে জনগণ প্রতিহত করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।