ফেনী: চতুর্থ ধাপে ফেনীর সোনাগাজী ও দাগনভূঞার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে একটিমাত্র ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন।
এছাড়া ১৪টি ইউনিয়নেই বিজয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা, যাদের মধ্যে ৭ জনই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হছেন।
অন্যদিকে একমাত্র সোনাগাজীর নবাবপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি নেতা জহিরুল আলম জহির।
ফেনীতে শেষ হওয়া ইউপি নির্বাচনের চারটি ধাপে জহিরই একমাত্র প্রার্থী, যিনি এ চমক দেখিয়েছেন। ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনকে ৮৬ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়ী হন আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রদল নেতা জহিরুল আলম জহির।
জহিরুল আলম জহির পেয়েছেন ৪ হাজার ৮২১ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৩৫ ভোট। ভোট গণনা শেষে রাতে তাকে বেসরকারিভাবে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
জয়ের অনুভূতি ব্যক্ত করে জহিরুল আলম জহির বলেন, জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আরেকবার তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। সেই সঙ্গে প্রসাশনকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি এ ইউনিয়নের অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করায়।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, বিজয়ীরা হলেন- সোনাগাজী সদর ইউপিতে উম্মে রুমা, চরছান্দিয়ায় মোশাররফ হোসেন মিলন, চর দরবেশ ইউপিতে নুরুল ইসলাম ভুট্টো, বগাদানা ইউপিতে বাবুল মেম্বার, আমিরাবাদ ইউপিতে আজিজুল হক হিরন, চর মজলিশপুরে মো. হোসেন। নবাবপুর ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা জহিরুল আলম জহির নির্বাচিত হন। অপর দুটিতে যথাক্রমে মঙ্গলকান্দি ইউপিতে মোশারফ হোসেন বাদল ও মতিগঞ্জ ইউপিতে রবিউজ্জামান বাবু বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
অন্যদিকে দাগনভূঞায় ৬ ইউপির ৫টিতেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নৌকার প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। একমাত্র ইউপি জায়লস্করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, এতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মামুনুর রশিদ মিলন তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিক রফিকুল ইসলামকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়লাভ করেছেন। যদিও প্রশাসনের অসহযোগিতা ও নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ভোট বর্জন করে নতুন তফসিলে নির্বাচন দাবি করেছেন আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম।
প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, মামুনুর রশীদ মিলন নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৬ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ২১৯ ভোট।
এর আগে এ উপজেলায় একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিন্দুরপুর ইউনিয়নে নূর নবী, রাজাপুর ইউনিয়নে জয়নাল আবেদীন মামুন, পূর্ব চন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নে মাসুদ রায়হান, ইয়াকুবপুর ইউনিয়নে আবুল ফোরকান বুলবুল, মাতুভূঞা ইউনিয়নে আবদুল্লাহ আল মামুন বিজয়ী হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
এসএইচডি/জেএইচটি