সিরাজগঞ্জ: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে টানা দুবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান তিনি। এবারও দল তার উপরই আস্থা রেখেছিল।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) চতুর্থ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা বিধৌত কৈজুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খোকন। ঘোড়া প্রতীকে ১০ হাজার ৯২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী তারই ছাত্র সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ৮৫৭০ ভোট।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চতুর্থ দফায় রোববার জেলার ২১টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি আলোচনা ছিল কৈজুরী ইউনিয়নকে ঘিরে। এখানে টানা দুবারের চেয়ারম্যান শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম (নৌকা) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তারই সরাসরি শিক্ষক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কৈজুরী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে।
গুরু-শিষ্যের জমজমাট প্রচারণায় জমে উঠে নির্বাচন। প্রচারণায় শিক্ষক-ছাত্রের মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে চলছিল নানা বাকযুদ্ধ। শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন খোকন তার শিক্ষকতা জীবনের ব্যর্থতা হিসেবে সাইফুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে তাকে সন্ত্রাসী ও অত্যাচারী বলে প্রচারণা চালিয়েছেন।
অপরদিকে ছাত্র সাইফুল ইসলাম বিভিন্ন জায়গায় প্রচারণায় তার শিক্ষককে সন্ত্রাসী, চোর ও লুটতরাজকারী আখ্যা দিয়ে বক্তব্য রাখেন।
নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন খোকন বলেন, ১৯৭৬ সাল থেকে ৮৩ সাল পর্যন্ত আমি কৈজুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ছিলাম। ওই সময়ে সাইফুল ইসলাম, তার ভাই নজরুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, আব্দুল মালেক, মোস্তফা, বোন আঞ্জুয়ারা আমার সরাসরি ছাত্র ছিল। পরবর্তীতে আমি ঠুঁটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে যোগ দেই এবং সেখানে অধ্যক্ষ পদে থাকা অবস্থায় অবসরে যাই।
নির্বাচনে নিজের জয়কে জনসাধারণের বিজয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা সাইফুলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনগণের বিজয়। তার অত্যাচারে কৈজুরীবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে কৈজুরী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকার প্রার্থী সাইফুল ইসলামের মোবাইলে ফোন কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
এমএমজেড