সিলেট: সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ জনপদ বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) দিনভর ভোট গণণা শেষে রাতে মধ্যরাতে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
চেয়ারম্যান পদে সিলেটের দুই উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ৭টিতে, ৩ টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ৩টি, স্বতন্ত্রের ব্যানারে বিএনপি ৩টি, জাপা ১টি এবং ৩টিতে জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
ভোটের হিসাবে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে আহবাবুর রহমান খান ৫ হাজার ৫৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মামুনুর রশিদ মামুন ৪ হাজার ৯৮৭ ভোট পেয়েছেন।
চারখাই ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন আহমদ ৮ হাজার ২৮১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ আলী ৪ হাজার ৬৫৭ ভোট পেয়েছেন।
দুবাগ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জালাল আহমদ চশমা প্রতীকে ৩ হাজার ১৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আব্দুস সালাম নৌকা প্রতীকে ৩ হাজার ৫৩ ভোট পেয়েছেন।
উপজেলার কুড়ারবাজার ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী তুতিউর রহমান চশমা প্রতীকে ৩ হাজার ৩১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী এ এফ এম আবু তাহের আনারস প্রতীকে ৩ হিাজার ৯৮ ভোট। এ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী বাহার উদ্দিন ১ হাজার ৯৫৮ ভোট পেয়েছেন।
লাউতা ইউনিয়নে দেলোয়ার হোসেন ৪ হাজার ৩২১ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের এম এ জলিল ৩ হাজার ৩৪৯ ভোট।
মাথিউরায় নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের আমান উদ্দিন ৩ হাজার ৪৫৭ ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করেছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কছির আলী ২ হাজার ৮৫০ ভোট।
মুল্লাপুরে আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান ৩ হাজার ৪৯ ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল করিম ঘোড়া মার্কায় ২ হাজার ১৯৬ ভোট এবং নৌকার প্রার্থী শামীম আহমদ ১ হাজার ৩৮৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
তিলপাড়া ইউপিতে চশমা প্রতীকে মাহবুবুর রহমান ৩ হাজার ৫১৩ ভোট পেযে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিবেকানন্দ দাস বিবেক (ঘোড়া) ২ হাজার ৭২৭ ভোট পেয়েছেন।
শেওলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জহুর উদ্দিন নৌকা প্রতীকে ৪ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র হাজি আখতার হোসেন খান পেয়েছেন ৩ হাজার ১০৮ ভোট।
মুড়িয়ায় নৌকাকে হারিয়ে চশমা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ ৫ হাজার ৯৭৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত হুমায়ন কবীর ৪ হাজার ২১৫ ভোট পেয়েও ধরাশায়ী হয়েছেন।
সিলেটের গোলাপগঞ্জের ভাদেশ্বর ইউপিতে নৌকাকে ধরাশায়ী করে ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম আহমদ ১১ হাজার ৮৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিম উদ্দিন ৬ হাজার ৮৮ ভোট পেয়েছেন।
গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তজম্মুল আলী ৩ হাজার ৫৩৯ ভোটে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ৩হাজার ১৩৪ ভোট পেয়েছেন।
গোলাপগঞ্জের পশ্চিম আমুড়ায় নৌকা প্রতীকে সৈয়দ হাসিন আহমদ মিন্টু ২ হাজার ২২৬ ভোট পেয়ে জীয় হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকে নুরুল ইসলাম ২ হাজার ১২১ ভোট পেয়েছেন। মাত্র ১০৫ ভোটের ব্যবধানে নৌকার বিজয় হয়েছে।
উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহতাব উদ্দিন আনারস প্রতীকে ৫ হাজার ৪৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার কাছে অল্প ভোটে ধরাশায়ী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম তুহিন। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৬১ ভোট। আর নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ৩৪৬ ভোট পেয়ে ৫ নম্বর অবস্থানে রয়েছেন।
ঢাকা দক্ষিণে ইউপিতে ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মো. আব্দুর রহিম ৬ হাজার ২৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিতকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অটোরিকশায় নোমান উদ্দিন মুরাদ ৫ হাজার ৭০০ ভোট পেয়েছেন। আর নৌকা প্রতীকে নজরুল ইসলাম ৪৭৮ ভোট পেয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন।
বাঘা ইউনিয়নে ৮ প্রতিদ্বন্দ্বীকে টপকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুস সালাম ৪ হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাদির হোসেন ৩ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়েছেন।
ফুলবাড়ি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের আব্দুল হানিফ খান ৫ হাজার ৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এমরান হোসেন ৩ হাজার ৬৮২ ভোট পেয়েছেন।
উত্তর বাদেপাশা ইউপিতে নৌকাকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ হোসাইন। তিনি ৪ হাজার ৬৮৩ ভোট পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী মোস্তাক আহমদ পেয়েছেন ৩ হাজার ২৫১ ভোট।
শরীফগঞ্জ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম কবির উদ্দিন ঘোড়া প্রতীকে ৩ হাজার ৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী আতিকুর রহমান ৩ হাজার ২৪ ভোট পেয়েছেন। আর নৌকার প্রার্থী এমএ মুহিত হীরা ২ হাজার ৮৫৩ ভোট পেয়ে ৬ প্রার্থীর মধ্যে তৃতীয় হয়েছেন।
লক্ষণাবন্দ ইউপিতে জাতীয় পার্টির খলকুর রহমান লাঙ্গল প্রতীকে ৯ হাজার ৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অজি মো. কাওছার ঘোড়া প্রতীকে ৭ হাজার ২২৬ ভোট পেয়েছেন। ইউপিতে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের আব্দুল করিম খান ১৩৯ ভোট পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২০২১
এনইউ/এনএইচআর