গাইবান্ধা: রোববার (২৬ ডিসেম্বর) চতুর্থধাপে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে চারটিতে চেয়ারম্যান পদে জামানত হারিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এছাড়া জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) ছয়জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একজন, জাকের পার্টির একজন ও স্বতন্ত্র ২৮ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী মোট প্রদত্ত (জমা পড়া) ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম ভোট পেলে তার জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।
ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের জামানত হারিয়েছেন রাজাহার ইউনিয়নে মো. আ. লতিফ সরকার (৫৪০ ভোট), রাখালবুরুজে মোছা. নুরজাহান বেগম (১০৪১ ভোট), নাকাইয়ে মো. মোকছেদুল আমিন (৫৯৬ ভোট) ও সাপমারা ইউনিয়নে মো. সামীম রেজা (৫৩২ ভোট)।
এছাড়া চেয়ারম্যান পদে আরও জামানত হারিয়েছেন শাখাহার ইউনিয়নে লাঙ্গলের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র চারজন, সাপমারায় লাঙ্গল ও স্বতন্ত্র তিনজন, কোচাশহরে লাঙ্গল ও স্বতন্ত্র দুইজন, দরবস্তে লাঙ্গল ও স্বতন্ত্র দুইজন, হরিরামপুরে লাঙ্গল ও স্বতন্ত্র একজন, রাখালবুরুজে লাঙ্গলের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র একজন, ফুলবাড়ীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র একজন, নাকাইয়ে জাকের পার্টির প্রার্থী ও স্বতন্ত্র দুইজন, কামদিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনজন, শালমারায় তিনজন, গুমানিগঞ্জে দুইজন, রাজাহারে দুইজন, কাটাবাড়ীতে একজন এবং তালুককানুপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র একজন প্রার্থী। একমাত্র মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নে চার চেয়ারম্যান প্রার্থীর কেউই জামানত হারাননি।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোত্তালিব বলেন, নির্বাচনের আগে প্রত্যেক চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা করে জমা থাকে। মোট প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশের নিচে এক ভোট কম পেলেই তার জামানতের টাকা নিয়মানুযায়ীই বাজেয়াপ্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
এনটি