দিনাজপুর: সম্প্রতি মারা গেছেন এক মেম্বার প্রার্থীর বাবা। এখনো ভোটার তালিকায় রয়েছে তার নাম।
চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মদনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রে ঘটেছে এ ঘটনা।
এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন অপর এক প্রার্থী (৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী রমনী কান্ত দাস)।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন রমনী কান্ত দাস। নির্বাচনে তার বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক ছিল।
৬ নং ওয়ার্ডে রমনী কান্ত দাস ছাড়াও আরো তিনজন মেম্বার (সদস্য) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন শফিউল আহমেদ হোলাল (প্রতীক: ফুটবল) রনজিৎ সরকার রাজ (প্রতীক: টিউবওয়েল) আনোয়ার হোসেন (প্রতীক: তালা) ও আবু ছায়েদ আলী (প্রতীক: মোরগ)।
রমনী কান্ত দাসের অভিযোগ, ওই কেন্দ্রের মোট ভোটারের সংখ্যা ১৬৬০। গণনা বিবরণীতে চারজন প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী শতভাগ উপস্থিতি ও ভোট গ্রহণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। যা আদৌ সত্য ও সঠিক নয়। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং প্রিজাইডিং অফিসার অবৈধ আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে ভোটের প্রকৃত ফলাফল পরিবর্তন করেছেন মর্মে গুরুতর অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করে উক্ত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ভোট স্থগিত করার অনুরোধ করা হয়।
তিনি অভিযোগে আরো বলেন, ওই ওয়ার্ডের অপর মেম্বার প্রার্থী রনজিৎ চন্দ্র সরকার রাজের বাবা অর্জুন সরকার সম্প্রতি মারা গেছেন। এ ধরনের আরও মৃত ভোটার রয়েছেন। অনেকে এলাকার বাইরে অবস্থান করছেন। এ অবস্থায় শতভাগ উপস্থিতি ও ভোটাধিকার প্রয়োগের তথ্য গ্রহণযোগ্য নয়।
এ বিষয়ে ওই ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মিজানুর রহমান জানান, তাড়াহুড়া করার কারণে একটু ভুল হয়েছে। পরে ফলাফল শিট উপজেলায় এনে সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আখি সরকার জানান, একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
এসআই