ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

কোথায় শতভাগ বর্জ্য অপসারণ হয়, প্রশ্ন আইভীর 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২২
কোথায় শতভাগ বর্জ্য অপসারণ হয়, প্রশ্ন আইভীর 

নারায়ণগঞ্জ: দেশের কোথায় নগরের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ হয়, তা জানতে চেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) সকালে বন্দরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণায় নেমে এ কথা বলেন তিনি।

আইভী বলেন, বাংলাদেশের কোন জায়গায় শতভাগ বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত হচ্ছে বলেন তো? নির্বাচন এসেছে বলে আপনারা নারায়ণগঞ্জকে টার্গেট করছেন। বাংলাদেশের কোথাও কি বর্জ্য পুরোপুরি অপসারণ হয়। আমরা অপসারণ করতে পারছি ৬০০ টনের মতো। আমাদের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে পিডিবি’র, সেখানে প্রতিদিন আমাকে ৬০০ টন ময়লা দিতে হবে। তখন তো আমাকে চেয়ে চেয়ে ময়লা আনতে হবে, কিনতে হবে। একটু ধৈর্য ধরতে হবে। শহর তো একেবারে নোংরা হয়ে থাকে না।

নৌকার মেয়র প্রার্থী বলেন, আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, এই অঞ্চলের জন্য আমরা ৭২ একর জায়গা একোয়ার করছি। ইতোমধ্যে সরকার আমাকে টাকা দিয়েছে। জালকুড়িতে আমরা জায়গা একোয়ার করেছি। আমাদের সঙ্গে পিডিবির চুক্তি হয়েছে। সেখানে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ তৈরি হবে। আমাদের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী হয়তো এটা প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধন করার ব্যবস্থা করবেন।

তিনি বলেন, মনে হয় আমি আমার কথার ৭০ থেকে ৮০ ভাগই রেখেছি। মানুষের সবচেয়ে বেশি চাহিদা ছিল রাস্তা ও ড্রেন। সিটি করপোরেশন হওয়ার আগে কিন্তু রাস্তা ড্রেন কিছুই ছিল না। তাই সাধারণ মানুষের এই চাহিদাটা সবচেয়ে বেশি ছিল। আমার মনে হয় রাস্তা ও ড্রেনের ক্ষেত্রে আমি আমার কথা রেখেছি। এখন যে চাহিদা সেটা হলো খাল খনন, খেলার মাঠ, পার্ক করে দেওয়া। সেটা নিয়ে এখন আমি কাজ করছি। এই ওয়ার্ডে পানির কোনো ব্যবস্থা নাই, মানুষ ডিপ টিউবওয়েলের পানি খায়। তাদের আরেকটা দাবি ওয়াসা, যেটা এখন নারায়ণগঞ্জ ওয়াসা। কথা বললে আরও চাহিদা বোঝা যাবে। এগুলোই মূল কাজ। আমার প্রতিশ্রুতি হলো আগের চলমান কাজগুলো সম্পন্ন করা।  

তিনি আরও বলেন, যখন আমি কাজ করব, পক্ষে-বিপক্ষে ভোটাররা বলবেই। তাদের নতুন নতুন চাহিদা আছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া, স্থানীয় সরকারের কাজগুলো কখনো সমাপ্ত হয় না। সমাপ্ত হয়ে আবারও শুরু হয়। সুতরাং ভোটাররা বলতেই পারেন। আমরা ২৭টি ওয়ার্ডে যেভাবে কাজ করেছি, আপনারা হাঁটলে দেখতে পারবেন। আমার মনে হয় না সেরকম মেজর কোনো কাজ বাকি আছে। আমি যেগুলো বলছি সেই কাজগুলোই বাকি আছে। তারপরেও নতুন নতুন চাহিদা অনুযায়ী কাজগুলো করে দিব।

তিনি বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে। আমার কর্মীরা কখনো ওভার অ্যাক্সেস করেনি এবং আমিও আইন ভঙ্গ করিনি। আমি উনাকে বলতে চাই তিনি যেন ওভার রোল প্লে না করে। তিনি যেন সঠিকভাবে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২২
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।