নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার অভিযোগ করেছেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। আমি ঢাকা থেকে লোক আনি না নারায়ণগঞ্জের মানুষকে ধমক দেয়ার জন্য।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) জুমার নামাজ আদায়ের পর মাসদাইর এলাকায় সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
তৈমূর বলেন, এই এলাকা আমার নিজস্ব বাসস্থান। এই মসজিদটা আমার করা। এই এলাকার যে স্কুলগুলো দেখছেন সবগুলো আমার মায়ের নামে করা। এই মুসলিম একাডেমি আমার করা। এই বাজার, সাধারণ দোকানদার যারা রাস্তায় দোকানদারি করত তাদের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এখানে আমার একটা পানের দোকানও নেই। আমি এই মসজিদে দোয়া চেয়েছি। আমরা ধর্মভীরু লোক। মসজিদে দোয়া চাওয়ার অধিকার প্রতিটা লোকেরই আছে।
তিনি বলেন, রাস্তা বন্ধ করে নির্বাচনী শোডাউন করার কোন বিধান নেই। এটা দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের, নারায়ণগঞ্জের ডিসি, এসপির। তারা এটা দেখে না। সরকারি প্রার্থী প্রতিদিন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। সেটা তারা দেখে না। উল্টো আমার যারা নির্বাচনী এজেন্ট-কর্মী তাদের প্রতিদিন পুলিশ ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এতে আমার নেতাকর্মীরা আরও ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। আমার এজেন্টরা যে কোনো পরিস্থিতিতে কেন্দ্রে থাকবে এবং তারা রেজাল্ট নিয়ে আসবে।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের জনগণ তাদের মনের মত প্রার্থী খুঁজছিল। তারা সে প্রার্থী পেয়েছে। জনগণও এ নির্বাচনে ব্যাপক সাড়া দিয়েছে। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও সব দলের নেতাকর্মীরা আমার প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করছেন। আপনারা দেখেছেন আমি স্বাস্থ্যবিধির কারণে সরকারি নির্দেশনা মেনে ছোট আকারে প্রচার করি। যখন আমি মিছিল করেছি তখন দেখেছেন ব্যপক সংখ্যক নেতাকর্মী ও জনসাধারণ আমার পাশে ছিল। গত পরশু আমাদের যে পথসভা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জে স্মরণকালে এতবড় পথসভা হয়নি। আজকেও (১৪ জানুয়ারি) আমার একটা পথসভা আছে বন্দরে। আপনারা দেখবেন বিশাল পথসভা হবে।
তিনি বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে নির্বাচন করছে। সরকারের যারা মেহমান আছেন তাদের বক্তব্য নানান জটিলতা সৃষ্টি করে। নারায়ণগঞ্জের মানুষকে ব্যাথা দিয়ে তারা এমন ভয়ভীতি দেখায়। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) প্রশাসনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। আমি মনে করি নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে তারা এসব করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২২
এমআরপি/এমএমজেড