ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

লাঠিতে ভর দিয়ে ভোটকেন্দ্রে এলেন শতবর্ষী সপ্তমী রাণী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২২
লাঠিতে ভর দিয়ে ভোটকেন্দ্রে এলেন শতবর্ষী সপ্তমী রাণী

সিরাজগঞ্জ: লাঠিতে ভর করে পায়ে হেঁটে একাই ভোট দিতে এসেছেন শতবর্ষী সপ্তমী রানী। দ্রুত হেঁটে কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছিলেন, এ সময় কোথায় যাচ্ছেন জিজ্ঞেস করতেই ফোকলা দাঁতে হেসে বলেন ভোট দিব‍্যার যাচ্ছি বাপু।

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি ) সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার চৌবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয় ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন এই বৃদ্ধা। বাড়ি থেকে প্রায় আড়াইশ মিটার দূরের ভোটকেন্দ্রে একটি বাঁশের লাঠিকে অবলম্বন করে দৃঢ় পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন তিনি। ভোট যেন তার কাছে মহা উৎসবের। তাই তো নতুন কাপড় পড়ে ভোট দিতে এসেছেন।

তিনি বলেন, হেই ব্রিটিশ আমল থিক্যা ভোট দেই। চিয়ারম্যান-মেম্বর, আর সরকারি ভোট দিছি। শেখ সাহেবকেও ভোট দিছিলাম।

জীবনে কতবার ভোট দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, গুইনা কতি পারমু না। যতবার ভোট আইচে, ততবারই ভোট দিছি।

কেমন প্রার্থীকে ভোট দেবেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে আমাদের কাজ কাম করব, তাকে ভোট দিমু।

মার্কা দেখে ভোট দিতে পারবেন জানতে চাইলে বলেন, এখনও আমার চোখ নষ্ট অয় নাই। দেখলেই বুজতে পারমু।

স্বামীর নাম কি জানতে চাইলে অত্যন্ত সূচিবাই এ বৃদ্ধা  বার বার দেবী লক্ষ্মীর স্বামীর নামে ইঙ্গিত করেন। স্থানীয়রা বলেন, হিন্দু বিধবারা স্বামীর নাম মুখে নেন না। এলাকাবাসীও তার স্বামীর নাম বলতে পারে না। তবে যখন লক্ষ্মী দেবীর স্বামীর কথা ইঙ্গিত করলেন, তখন বোঝা গেল তার স্বামীর নাম নারায়ন চন্দ্র।

স্থানীয়রা জানান, এই বৃদ্ধার বড় ছেলে বিরেন চন্দ্রের বয়সও ৭০ এর বেশি। তিনি অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। অন্য দুই ছেলে পরিমল চন্দ্র ও কৃত্তিবাস চন্দ্রের বয়সও পঞ্চাশোর্ধ। তারা সবাই কৃষিকাজ ও দুধের ব্যবসা করেন। বৃদ্ধা সপ্তমী এ বয়সেও অনেক সূচিবাই হওয়ায় স্নান না করা কোনো মানুষের সংস্পর্শে আসেন না। এ কারণে লাঠিতে ভর করে একাই হেঁটে আসছিলেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।