ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ঈদের পর কুমিল্লা সিটি নির্বাচন

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২২
ঈদের পর কুমিল্লা সিটি নির্বাচন

ঢাকা: আইনি জটিলতার কারণে আপাতত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন করতে পারছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ঈদের পর এই সিটির ভোট করতে হবে সংস্থাটিকে।

ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, কুমিল্লা সিটি সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় এখন তফসিল ঘোষণা করা যাবে না। এজন্য আইন শাখার কাছে সম্প্রতি মতামতও চেয়েছে ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখা। সেই মতামতের ভিত্তিতেই ভোটের জন্য কমিশনের কাছে প্রস্তাব তোলা হবে।

২০১৭ সালের ৩০ মার্চ সর্বশেষ কুসিক নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওই বছর ১৭ মে। এক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ করতে হবে আগামী ১৬ মে এর মধ্যে।

কর্মকর্তারা বলছেন, আইন অনুযায়ী প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর হয় নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ। এজন্য মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালের ১৬ মে। আর ভোটগ্রহণ করতে হয়, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে। এ হিসেবে গত বছর ১৬ নভেম্বর থেকে এ সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়ে গেছে।

নির্বাচন কমিশন রোজার মধ্যে কোনো নির্বাচনের আয়োজন করে না। এক্ষেত্রে এখন তফসিল দিলে ভোট করতে হবে রোজার মধ্যে। তাই এখন তফসিল দেবে না কমিশন। উপরন্তু আইনি জটিলতা না কাটলেও কমিশন তফসিল দিতে পারবে না। রমজান মাস শুরু হবে আগামী এপ্রিলে। এক্ষেত্রে রোজার শুরুর দিকেও যদি আইনি জটিলতা কেটে যায়, ঈদের পরপরই ভোট করা যাবে।

এ বিষয়ে ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম-সচিব মো. ফরহাদ আহাম্মদ খান বলেন, আমাদের প্রস্তুতি নিতে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে না। হাতে ৪৫ দিন সময় থাকলেই অনেক। তবে সীমানা জটিলতা নিরসনে হাইকোর্ট রিট হয়েছিল। এ নিয়ে জটিলতা এখনো রয়ে গেছে। আমাদের আইনজীবী কাজ করছেন। এছাড়া আইন শাখার মতামতও চাওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে রজমানের শুরুর দিকে তফসিল দিয়ে ঈদের পরপরই ভোট করা যাবে। কিন্তু কমিশন সাধারণত নির্বাচন কার্যক্রম রজমানে হাতে নেয় না। এক্ষেত্রে নির্বাচন ঈদের পরে তো যাবেই, আর দেরিও হতে পারে।

২০১৭ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু দ্বিতীয়বারের মতো এ সিটিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই সিটিতে সে সময় ভোট হয়েছিল ১০৩টি কেন্দ্রে। মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন।

২০১১ সালে দুটি পৌরসভাকে একীভূত করে গঠন করা হয় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নামে নতুন একটি করপোরেশন। ওই বছরই প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০১৭ সালে এসে এ সিটি পাশ্ববর্তী বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদকে (ইউপি) অন্তর্ভূক্ত করে আয়তন বাড়ানো হয় প্রায় তিনগুণ। এতে দেখা দেয় সীমানা জটিলতা। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২২
ইইউডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।