ঢাকা: জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের নির্বাচন একদিনে না করে কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভাগ ভিত্তিক করার সুপারিশ এসেছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সংলাপে।
বুধবার (০৬ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন এ প্রস্তাব করেন।
তিনি বলেন, প্রত্যেক জেলায় একেকদিন একেকটা নির্বাচন করেন, তাহলে নির্বাচনের পুরো পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। বিভাগ ভিত্তিক জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা যায় কি-না, দেখবেন কে কত ভোট পায়। এই ডিভিশনে এক সপ্তাহ, ওই ডিভিশনে ওই সপ্তাহ, দেখেন তো কয়টা লোক আসে। কয়টা আওয়ামী লীগ সিট পায়, কয়টা সিট বিএনপি পায়।
তিনি আরো বলেন, ৩০ শতাংশ ভোটার যদি ভোট দিতে যান, তাহলে একজন এতো ভোট পান কী করে? এগুলো অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। গত নির্বাচনে কে কত ভোট পেয়েছেন এগুলো রিসার্চ করা যায়। কেন বিএনপি আসবে না, ওরা তো ভোট পাবেই না। আশা করি না একটা শতভাগ ন্যায়্য ভোট করবেন। ৫০ শতাংশ সাফল্য পেলে স্যালুট জানাবো। আগামী নির্বাচন ভালোভাবে না হলে খুনাখুনি হবে।
এই সম্পাদক বলেন, এসপি, ডিসিকে বললে এখন আর কোনো কাজ হয় না। আমরা যাচ্ছি কোথায় লিডারশিপের অভাব প্রতিটি বেলায়। আমরা এখন ওপরের দিকে তাকিয়ে থাকি। প্রথমে গণভবন, তারপর আল্লাহর দিকে।
তিনি আরো বলেন, একেকটা নির্বাচন একেক রকম ছিল। পাবলিকও পরিবর্তন হচ্ছে। দুই কোটি মানুষ সুপার স্মার্ট। মানুষ কেন বদলে যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশন আপানারা ভালো একটা কাজ করতে এসেছেন। সবাই বলে আগে টাকা করবো, তারপর রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাব। লোকাল ইলেকশন থেকে সব জায়গায় একই হচ্ছে। সিস্টেম হ্যাজ বিন ব্রোকেন, মোরাল হ্যাজ বিন ব্রোকেন।
তিনি এ সময় সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাসমিমা হোসেন বলেন, প্রত্যেকটা নির্বাচনী এলাকা সীমানা পরিবর্বতন হয় হঠাৎ করে। আমাদের এলাকায় তিনবার হয়েছে।
প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে ইসির সংলাপে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। এতে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ২৩ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২২
ইইউডি/এসআইএস