ঢাকা: আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থীকে দলের কোনো ব্যক্তি মনোনয়নন দেবেন, সেই ব্যক্তির নাম ও নমুনা স্বাক্ষর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়ার সময় বাড়ছে। এক্ষেত্রে ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার পরের দিন পর্যন্ত সময় পাচ্ছে দলগুলো।

গত ২৫ এপ্রিল কুসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইন অনুযায়ী, তফসিল অনুযায়ী সাত দিনের মধ্যে এই কাজটি সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে শেষ সময় ছিল ১ মে। এই দিনটি ঈদের ছুটির মধ্যে পড়ায় অন্তত তিনদিন সময় বেশি পাচ্ছে দলগুলো।

তফসিল ঘোষণার দিনই ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত চিঠি রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবীকে পাঠিয়েছিলেন। যার অনুলিপি সরকারের সংশ্লিষ্ট সব দফতরেও পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রার্থী মনোনয়নকারীর নাম ও স্বাক্ষর জমা দেওয়ার শেষ সময় ঈদের ছুটির মধ্যে পড়ায় ছুটি শেষ হওয়ার পর্যন্ত দলগুলো সময় পাবে। এক্ষেত্রে অফিস খুললে ওইদিনই হবে শেষ সময়।

রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছিল- স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ১২ এর উপবিধি (৩) এর দফা (গ) এর উপ দফা (ইইই) অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাদের নিকট থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরিত এই মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র থাকবে যে, ওই প্রার্থীকে ওই দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, কোনো রাজনৈতিক দল কোনো সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন প্রদান করতে পারবে না। একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন প্রদান করলে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনে ওই দলের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

আরও উল্লেখ্য যে, সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম, পদবি, নমুনা স্বাক্ষরসহ একটি পত্র তফসিল ঘোষণার ৭ (সাত) দিনের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাবে এবং ওই পত্রের একটি অনুলিপি নির্বাচন কমিশনেও প্রেরণ করবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ সময় ১৭ মে ও মনোনয়নপত্র বাছাই ১৯ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা যাবে ২০-২২ মে পর্যন্ত। আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ২৩-২৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৬ মে। প্রতীক বরাদ্দ ২৭ মে। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জুন।

একই তফসিলে ছয়টি পৌরসভা, একটি উপজেলা এবং ১৩৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একই নিয়মে এই স্থানীয় সরকারগুলোর নির্বাচনেও পৌরসভার মেয়র, উপজেলার চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান পদে প্রার্থী মনোনয়নকারীর নাম ও নমুনা স্বাক্ষর দলগুলোকে জানাতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২২
ইইউডি/এনএইচআর