ঢাকা: চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচিতে নারী ভোটার বিষয়ে সতর্ক থাকতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে কোনো যোগ্য নারী যেন ভোটার তালিকা হালনাগাদ থেকে বাদ না পড়েন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
গতকাল ২০ মে থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করেছে ইসি, যা চলবে আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। এ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ১৬ ধরনের নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে মাঠ কর্মকর্তাদের।
ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেনের পাঠানো ওই নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে- বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছেন তাদের তথ্য নিবন্ধনের জন্য বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। তথ্যসংগ্রহ কালে কোনো ব্যক্তির ফরম পূরণের আগে তিনি ভোটার হয়েছিলেন কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া বাদ পড়া ভোটারদের ক্ষেত্রে বাদ পড়ার কারণ যাচাই করে নিশ্চিত হওয়া; কোনো ব্যক্তির নামের আগে বা পরে কোনো পেশা, খেতাব, পদবি, অর্জিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি সংযুক্ত না করা; ভোটারযোগ্য ব্যক্তির বাংলা নামের ইংরেজি বানান যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা; বাড়ি বাড়ি যাওয়ার সময় ভোটারযোগ্য অনুপস্থিত ব্যক্তিদের তথ্য রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা; নিবন্ধন কেন্দ্রে আসার জন্য নিবন্ধন স্লিপ (ফরম-৫) ফরম পূরণের সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া, সুপারভাইজার কর্তৃক তথ্যসংগ্রহকারীদের প্রতিদিনের তথ্য সংগ্রহের কাজ তদারকি ও নমুনা যাচাই করা; প্রয়োজনে তথ্য সংগ্রহকারীর পূরণ করা ফরমের কিছু অংশ দৈবচয়নের ভিত্তিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুদ্ধতা যাচাই করা এবং কোনো ভুল ধরা পড়লে সুপারভাইজারদের তা শুদ্ধ করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশনায়।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়- ভোটারযোগ্য নারীদের নিবন্ধনের বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি কোনো ক্রমেই যোগ্য কোনো নারী যেন বাদ না পড়েন তা তথ্যসংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার কর্তৃক নিশ্চিত করা; নিবন্ধন ফরম পূরণকারীদের নিবন্ধন কেন্দ্রে উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করা; বিশেষ এলাকার জন্য তথ্য ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজর দেওয়া, বিশেষ করে তথ্য ফরম পূরণের সময় সংশ্লিষ্ট তথ্য যাচাই করে অন্তর্ভুক্ত করা ও বিশেষ এলাকার জন্য তথ্য ফরম-২ এর সঙ্গে বিশেষ তথ্য ফরম পূরণ করা।
এছাড়া এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় নাম স্থানান্তরের আবেদন সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ ভোটার কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন অফিসারের নিকট দাখিল করা; মৃত ভোটারের নাম কর্তনের জন্য ফরম-১২ এ তথ্য সংগ্রহকালে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা, কোনোক্রমেই জীবিত ভোটারের নাম মৃত হিসেবে যেন তথ্য সংগ্রহ না করা হয় সেজন্য সতর্ক থাকা, তথ্যসংগ্রহকারী ও সনাক্তকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর সুস্পষ্টভাবে লেখা এবং কোনো ক্রমেই রোহিঙ্গা ও অবাঞ্ছিত ব্যক্তিদের তথ্য যেন সংগৃহীত না হয় সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
বর্তমানে ভোট আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষটির তথ্য ভাণ্ডারে মোট ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন ভোটারের তথ্য রয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন। হিজড়া ভোটার আছে ৪৫৪ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২২
ইইউডি/এনএসআর