ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচন হতে পারে অক্টোবরের প্রথমার্ধে

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২২
গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচন হতে পারে অক্টোবরের প্রথমার্ধে

ঢাকা: ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনে অক্টোবরের প্রথমার্ধে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসএসসি পরীক্ষার কারণে নির্বাচন কিছুটা পিছিয়ে যাচ্ছে।

এক্ষেত্রে পরীক্ষার ফাঁকে কোনো এক সময় এ নির্বাচন হতে পারে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির দেওয়া সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত টানা এসএসসি পরীক্ষা চলবে। এরপর ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। এক্ষেত্রে ২ থেকে ৯ অক্টোবরের মধ্যে যে কোনো দিন ভোটগ্রহণ হতে পারে।

ইসি নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে তার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়েছে গত ২৩ জুলাই। এদিন থেকে পরবর্তী ৯০ দিন বলতে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত সময়কে বোঝায়। এই হিসেবে আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে সেখানে উপ-নির্বাচনের বাধ্যবাধতা রয়েছে।

গত ২৪ জুলাই সংসদ সচিবালয়ের সচিব কেএম আব্দুস সালাম আসনটি শূন্য ঘোষণার গেজেট প্রকাশ করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ-সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া ০৮ শ্রাবণ ১৪২৯/২৩, জুলাই ২০২২ তারিখ পূর্বাহ্ণে মৃত্যুবরণ করায় একাদশ জাতীয় সংসদের ৩৩ গাইবান্ধা-৫ আসনটি ওই তারিখে শূন্য হয়েছে।

ইতোমধ্যে আসন শূন্য ঘোষণার গেজেট ইসিতে এসে পৌঁছেছে। তার ভিত্তিতে প্রাথমিক প্রস্তুতির কাজও শুরু করে দিয়েছে তারা। এছাড়া কমিশন সভার জন্য প্রয়োজনীয় নথিও প্রস্তুত করা হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি নির্বাচনের জন্য ৪৫ দিনের মতো সময় প্রয়োজন হয়। কেননা, মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই, আপিল ইত্যাদি শেষে প্রার্থীদের প্রচারের জন্যও সময় দিতে হয়। যদিও ৪৫ দিনের কম সময়েও নির্বাচন করার নজির আছে। তবে এসএসসি পরীক্ষার আর মাত্র ৩০ দিন হাতে থাকায় এবার সে সুযোগ নেই।

এই অবস্থায় পরীক্ষার ফাঁকে নির্বাচন করতে হলে আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই তফসিল দিতে হবে। অন্যথায় নির্বাচন করতে হবে পরীক্ষার পর।

এ অবস্থায় ইসি সচিবালয় মনে করছে অক্টোবরের প্রথমার্ধে ভোট হলেই সুবিধা। কেননা, ভোটের পরে দাফতরিক কিছু কাজের জন্যও সময় লাগে। এছাড়া কোনো কারণে নির্বাচন করা না গেলেও হাতে কিছুটা সময় থেকে যাবে।

গত সপ্তাহে এনিয়ে কমিশন বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়। শিগগিরই পুনরায় সভার তারিখ দিতে পারে ইসি।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২২
ইইউডি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।