ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনে কাউকে সুবিধা না দিতে নির্দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনে কাউকে সুবিধা না দিতে নির্দেশ

ঢাকা: আসন্ন গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনের কোনো প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান না নিতে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয় এ নির্দেশনা দিয়ে বলেছে, কেউ তা না মানলে আইন-বিধি অনুযায়ী শাস্তি পেতে হবে।

 
 
মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দীন চৌধুরী সম্প্রতি এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক এবং নির্বাচনি এলাকার সব স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
 
এতে বলা হয়েছে- ‘স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ তাহাদের পদমর্যাদা, সরকারি সুযোগ সুবিধা ইত্যাদি কোনো প্রার্থীর নির্বাচনি কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। ’
 
নির্দেশনায় আরও যেসব বিধি-নিষেধ উল্লেখ করা হয়েছে-
 
১) স্ব স্ব এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান;
 
২) নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সময়ে সময়ে যে সব আদেশ/নির্দেশ জারি করেছেন কিংবা করবেন তা প্রতিপালন;
 
৩) ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা পরিষদ কিংবা উপজেলা পরিষদে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অনুদান বা অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে না, যা কোনো প্রার্থীর ভোট প্রাপ্তি বা প্রচারণার কাজে প্রভাব বিস্তার করবে;
 
৪) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো অফিস, যানবাহন এবং অন্যান্য  সম্পত্তি কোনো প্রার্থীর নির্বাচনে কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না। মাশুল পরিশোধ করলেও ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া যাবে না;
 
৫) নির্বাচনি মিছিল, সভা ও প্রচারণা যাহাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে;
 
৬) কোনো নির্বাচনি অফিস বা প্রতীক বা পোষ্টার নষ্ট করার যে কোনো প্রচেষ্টা রোধে সামাজিক প্রতিরোধ গঠনে সহায়তা করতে হবে;
 
৭) ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ কিংবা জেলা পরিষদে এমন কোনো উন্নয়ন স্কীম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে না, যা জাতীয় সংসদের উল্লেখতি নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর ভোট প্রাপ্তিতে বা প্রচারণার পক্ষে ব্যবহৃত হতে পারে;
 
৮) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা কোনো প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না; স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ হইলে, শিথীলতা প্রদর্শন করলে কিংবা অবহেলা করলে ওই স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট অধ্যাদেশ/আইন/বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 
নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তারা হলেন- মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ), এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (বিকল্প ধারা), নাহিদুজ্জামান নিশাদ (স্বতন্ত্র) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র)।
 
উপ-নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৩ সেপ্টেম্বর এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ অক্টোবর।  
 
সাঘাটা ও ফুলছড়ি দু’টি উপজেলা নিয়ে এ সংসদীয় আসন গঠিত। এতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ফুলছড়ির সাতটি ইউনিয়নে ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ জন এবং সাঘাটার ১০টি ইউনিয়নে ২ লাখ ২৫ হাজার ৭০ জন।
 
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
ইইউডি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।