ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

গাইবান্ধায় ভোট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে: সিইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২২
গাইবান্ধায় ভোট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে: সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, চলমান গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। ভোটকেন্দ্রের গোপনকক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ভোট দিতে স্বচক্ষে দেখেছি।

বুধবার (১২ অক্টোবর) নির্বাচন ভবন থেকে সিসি ক্যামেরায় ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।

সিইসি বলেন, ভোটগ্রহণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। গোপন কক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে আমরা স্বচক্ষে দেখেছি। তাই ভোটকেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মূল অ্যাকশন হিসেবে আমরা ৪৫টি কেন্দ্র বন্ধ করেছি। এখন চাকরি বিধি অনুযায়ী বা অন্য বিধি অনুযায়ী কী অ্যাকশন নেবো তা পরে দেখবো। আমরা টেলিফোনে এসপি, ডিসি, রিটার্নিং অফিসারকে বলেছি, যে আমরা এখান থেকে সিসি ক্যামেরায় দেখতে পেয়েছি। তাই সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা হয়েছে যে, কমিশন যদি মনে করে নির্বাচন সঠিক ভাবে হচ্ছে না তাহলে কমিশন নির্বাচন বন্ধ করতে পারে। আমরা সেই আলোকে নিদ্ধান্ত নিচ্ছি। এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যখন নেবো, তখন জানাবো।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নিয়ন্ত্রণের বাইরে কেন চলে গেল তা আমরা বলতে পারবো না। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে অনেকটাই। আপনারাও দেখতে পেয়েছেন যে গোপন কক্ষে হচ্ছে (ভোট ডাকাতি), এবং সুশৃঙ্খলভাবে হচ্ছে না। কেন এমন হচ্ছে তা চটজলদি বলতে পারবো না।

তিনি আরো বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঠিকমতো কাজ করছে কিনা, তা আমরা বলতে পারছি না। ইভিএমেরও কোনো ত্রুটি দেখতে পাচ্ছি না।  

অনেকেই দেখছি গেঞ্জি পরে, শাড়ি পরে যেখানে প্রতীক আছে। দেখা যাচ্ছে তারা আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করছেন। এটা সুশৃঙ্খল নির্বাচনের পরিপন্থী।

সাবেক এই আইন সচিব বলেন, এরাই ডাকাত, এরাই দুর্বৃত্ত। যারাই আইন মানছেন না তাদেরকেই আমরা ডাকাত দুর্বৃত্ত বলতে পারি। কারণ আইনের প্রতি সকলকে শ্রদ্ধা করতে হবে। সকলে যদি আইন না মানি নির্বাচন কমিশন এখানে বসে সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারবে না।

সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসন।

নির্বাচনে মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ), এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (বিকল্প ধারা), নাহিদুজ্জামান নিশাদ (স্বতন্ত্র) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।

সাবেক সংসদ সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া গত ২৩ জুলাই মৃত্যুবরণ করায় গাইবান্ধা-৫ আসনটি ওই তারিখে শূন্য হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে শূন্য আসনটিতে উপ-নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।


বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২২
ইইউডি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।