রাজশাহী: রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
এবার প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ১৮৬ জন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তা।
এদিকে রাজশাহীতে আসন্ন এই নির্বাচনকে ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্য দিয়ে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। নির্বাচনকে ঘিরে দিন যত গড়াচ্ছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামান আক্তার ও আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ততই বাড়ছে। সর্বশেষ সপ্তাহখানেক আগে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তারুজ্জামানের কর্মীরা মোহনপুর উপজেলার ধুরইলে পোস্টার লাগাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে গ্রাম পুলিশের এক সদস্যকে মারধর করেন, যা মামলা পর্যন্ত গড়ায়।
আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালের অভিযোগ, বিভিন্ন টালবাহানা করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আখতারুজ্জামান আক্তার ও তার সমর্থকরা। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায় উল্টো চাপাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এবার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৯ জন এবং তিনটি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটগ্রহণ করা হবে ইভিএমে। এছাড়া নির্বাচন কেন্দ্র করে প্রতিটি উপজেলা মিলনায়তনে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২২
এসএস/এএটি