ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রাত পোহালেই ভোট, কেন্দ্রে গেল সরঞ্জাম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২২
রাত পোহালেই ভোট, কেন্দ্রে গেল সরঞ্জাম

রাজশাহী: অবশেষে বহুল প্রত্যাশিত জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে অন্তত তিনটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

ভোটে কারচুপি কিংবা হট্টগোল ঠেকাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রোববার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের (জেলা প্রশাসক) কার্যালয় থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও ভোটগ্রহণের উপকরণ বিতরণ করা হয়। সেগুলো কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হয়েছে।

রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. আবুল হোসেন  জানিয়েছেন- রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চারজন চেয়ারম্যানসহ সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদে মোট ৫১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৭ ও সাধারণ সদস্য পদে ৩০ জন লড়ছেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পাশাপাশি লড়ছেন আরও তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

তিনি আরও জানান, সোমবার রাজশাহীতে ১০টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে জেলার ৯ উপজেলায় একটি করে ৯টি কেন্দ্র এবং মহানগরীতে একটি কেন্দ্র স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ইতিমধ্যে তিনটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এসব সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করা হবে।

এদিকে, নির্বাচনকে ঘিরে এখন সরগরম রাজশাহীর রাজনীতি। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভোট আয়োজন করতে কক্ষে সিসিটিভি ক্যমেরা স্থাপনসহ সবগুলো কেন্দ্রে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় যতই এগিয়ে আসছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ততই যেন বাড়ছে। এতে রাজশাহীর জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে বেশ উত্তাপ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। চেয়ারম্যান প্রার্থী চারজন হলেও লড়াই হবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল এবং ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী আখতারুজ্জামান আখতারের মধ্যে।  

মাঠের প্রচারণায় অন্য দুজন প্রার্থীর কোনো অস্তিত্ব ছিল না বললেই চলে। সোমবারের নির্বাচন স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেবেন। রাজশাহীতে ভোটার সংখ্যা রয়েছেন ১ হাজার ১৮৫ জন।

এই ক'দিন সকাল থেকে রাত, প্রার্থীরা ছুটেছেন সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে। ভোটারদের জানিয়েছেন, তাদের আগামী দিনের কর্ম পরিকল্পনা। দিয়েছেন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। তবে এর মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করছেন কোনো কোনো প্রার্থী।

তবে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন জানিয়েছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার ১ হাজার ১৮৫ জন। তারা রাজশাহী ৯টি উপজেলার ১৮টি কক্ষে ইভিএম'র মাধ্যমে ভোট দেবেন। ভোটের দিন যে কোনো সহিংসতা এড়াতে মাঠে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে। মনিটরিং করতে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। আর তিনি নিজেও জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন বলে উল্লেখ করেন।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল জলিল বলেন, এরই মধ্যে আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগে রাজশাহী সিটি করপোরেশন মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনসহ দুই সংসদ সদস্যকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছেন। সেইসাথে চেয়ারম্যান পদে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনায় হয়েছে মামলা। নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিদিনই ঘটেছে কোনো না কোনো ঘটনা। তবে রাজশাহী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বলছেন- কোনো পক্ষপাতিত্ব নয়, জেলা পরিষদ নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২২
এসএস/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।