খুলনা: সারা দেশের মতো খুলনায়ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে একটানা দুপুর ২টা পর্যন্ত।
খুলনা জিলা স্কুল কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল মমিন বেলা ১১টায় বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজমল আহমেদ তপন ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসএম মোজাফফর রশিদী রেজা ভোট প্রদান করেছেন। এ কেন্দ্রে ৪২টি ভোট রয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার সকাল ১০টার দিকে জিলা স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন করে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রিটার্নিং অফিসার কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, খুলনা জেলা পরিষদের নির্বাচনে জেলার ১০টি ভোট কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- জিলা স্কুল, চালনা বাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কয়রা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন,পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন, ডুমুরিয়া শহীদ যোবায়েদ আলী মিলনায়তন, ফুলতলা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন, বটিয়াঘাটা সরকারি হাই স্কুল, তেরখাদা শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন ও রূপসা উপজেলা ভূমি অফিস।
ভোটার সংখ্যা ৯৭৮ জন। চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ডে ১৫ জন, সাধারণ ৮টি ওয়ার্ডে ২৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে (ফুলতলা) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাবিনা ইয়াসমিন মুক্তা নির্বাচিত হয়।
এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন আওয়ামী সমর্থিত শেখ হারুনুর রশীদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস.এম.মোর্তজা রশীদী দ্বারা ও বিএমএ খুলনার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম।
১০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ২০ জন সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ও ৪০ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সূত্র জানান, প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ৩ জন সশস্ত্র পুলিশ, ২ জন সশস্ত্র আনসার ও ১ লাঠিধারী আনসার ও ১ জন লাঠিধারী মহিলা আনসার দায়িত্ব পালন করছেন।
জেলায় ৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিচালনা করছেন। নির্বাচনে বিজিবি, কোস্ট গার্ড, আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র্যাব, পুলিশ ও আনসার বিডিপি দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২২
এমআরএম/এনএইচআর