ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন: অনিয়ম  তদন্তে ২য় দিনের শুনানি সম্পন্ন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২২
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন: অনিয়ম  তদন্তে ২য় দিনের শুনানি সম্পন্ন

গাইবান্ধা: বন্ধ ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের ‘ব্যাপক অনিয়ম’ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দ্বিতীয় দিনের মতো  শুনানি করেছে  নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠিত তদন্ত কমিটি।

বুধবার (১৯ অক্টোবর)  সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সভা কক্ষে আলাদাভাবে তদন্ত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে শুনানিতে অংশ নেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। তার সঙ্গে ছিলেন কমিটির সদস্য সচিব যুগ্ম সচিব শাহেদুন্নবী চৌধুরী ও সদস্য যুগ্ম সচিব  কামাল উদ্দিন বিশ্বাস।

শুনানির দ্বিতীয় দিন ৪০ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা,  ২৭৮ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ২০০ জন পোলিং এজেন্ট (প্রত্যেক প্রার্থীর পক্ষে), সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) মোট ৫২২ জনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
 
এছাড়া আগামী ২০ অক্টোবর গাইবান্ধা সার্কিট হাউজে পাঁচ প্রার্থী, ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি ও র‌্যাবের কমান্ডিং অফিসার দু‘জন, রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার এবং জেলা প্রশাসকসহ মোট ২৭ জনের শুনানি হবে।

এর আগে গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালে সিসি ক্যামেরায় কেন্দ্রগুলো পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন কমিশন ৫০টি ও রিটার্নিং কর্মকর্তা একটি ভোটকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেন।

পরে নির্বাচনের যৌক্তিকতা না থাকায় পুরো নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বন্ধ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

এরপর ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
 
গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। উপনির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি ভোটকক্ষ স্থাপন করা হয়েছিল।
 
সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছেন তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ এবং নারী ভোটার এক লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন।
 
অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া টানা নয় মাস ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই শেষে গত ২২ জুলাই দিনগত রাত ২টায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ কারণে তার আসনটি শূন্য হয়। সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এ উপনির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।