ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

এনআইডি স্বরাষ্ট্রে গেলে ‘ভোটার কার্ড’ দেবে ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২২
এনআইডি স্বরাষ্ট্রে গেলে ‘ভোটার কার্ড’ দেবে ইসি

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকার নিয়ে নিলে আমরা ভোটার কার্ড দেব।  

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

 

সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এনআইডির জন্য নতুন আইন হচ্ছে। এটি পাস হলেই এনআইডি নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলে যাবে। জন্মের পরপরই নাগরিককে এনআইডি দেওয়া হবে।  

ভোটার তালিকার বাই প্রোডাক্ট হিসেবে ইসি এ কাজটি ২০০৮ সাল থেকে করে আসছে। এজন্য সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনাররা, ইসি সচিব এমনকি সাধারণ মানুষও চাচ্ছে এটি ইসির কাছেই থাকুক।  

এসব বিষয় নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আলমগীর বলেন, এনআইডি চলে গেলে ক্ষতি হবে না। এনআইডি এক জিনিস, ভোটার এক জিনিস। আমরা কাজ করি ভোটার তালিকা নিয়ে। এনআইডির ভিত্তিতে নির্বাচন করি না। আমরা ভোটার তালিকার ভিত্তিতে নির্বাচন করি।  

তিনি বলেন, এনআইডি চলে গেলেও ভোটার সার্ভার দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা কাউকেই দেওয়ার সুযোগ নেই। এটা ইসির সম্পদ। তবে আমরা তথ্য শেয়ার করতে পারি। এনআইডি স্বরাষ্ট্রে চলে গেলে তারা তথ্য ব্যবহার করতে চাইলে দেওয়া যাবে।  

এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এ ইসি সচিব বলেন, এনআইডি চলে গেলে এটার নাম দেব ‘ভোটার আইডি’। ভোটাররা আমাদের কাছ থেকে কার্ড পাবেন। এনআইডি কার্ড হিসেবে তো আমরা বানাইনি। আমরা তো বানিয়েছি ভোটার কার্ড হিসেবে। আমাদের সার্ভার আমাদের কাছেই থাকবে। এ সার্ভার আমরা কারো কাছে হস্তান্তর করবো না। এটা নিয়ে যারা বোঝে তারাও বলে, যারা না বোঝে তারাও বলে।  

জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে তিনি বলেন, নতুন করে কিনতে না পারলে যা আছে তা দিয়ে যতগুলো আসনে ইভিএম ব্যবহার করা যায়, ততগুলোই করব।  

পরিকল্পনা কমিশন আমাদের প্রকল্প প্রস্তাব যদি মনে করে আর্থিক সক্ষমতা আমাদের আছে, সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা, অনেক কিছু দেখতে হয়; তারা যদি মনে করে পারবেন তাহলে নতুন করে ইভিএম কেনা হবে। তবে এটা আমাদের যদি জানুয়ারির মধ্যে না (প্রকল্প পাস না করে) দেন, তাহলে আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না।

গোপন কক্ষে সিসি ক্যামেরা বসানো ভোটাধিকার লঙ্ঘন- এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আলমগীর বলেন, আমরা গোপন কক্ষে সিসি ক্যামেরা রাখিনি। কারণ এটা গোপন কক্ষ। কে কোন মার্কায় ভোট দিয়েছেন এটা দ্বিতীয় ব্যক্তির জানার সুযোগ নেই। সিইসি বা কমিশনার, কারো অধিকার নেই এটা জানার। যারা বলেছেন ঠিকই বলেছে। আমরা গোপন কক্ষে সিসি ক্যামেরা রাখিনি। ভোটকেন্দ্রে রেখেছি। সেখানে দেখা গেছে, অবৈধ ব্যক্তি ভোট দিয়ে চলে আসছেন। কাকে ভোট দিয়েছে তাতো দেখিনি। এটা দেখার সুযোগ নেই। কেউ যদি এটা বলে থাকেন, সেটা ভুল তথ্য।

তিনি বলেন, গোপন কক্ষে আমাদের কোনো সিসি ক্যামেরা ছিল না। রাখার কোনো সুযোগ নেই। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা যেখানে ছিল সেখানে ছিল। এছাড়া ভোটার ব্যতীত আর কেউ ঢুকেছে কিনা সেটা দেখেছি।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনে অনিয়মে গঠিত তদন্ত কমিটি আগামীকাল হয়তো ফিরে আসবে। তারপর তারা রিপোর্ট দেবে। রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২২
ইইউডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।