ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা দুষ্কৃতকারীদের জন্য শত্রু হিসেবে কাজ করে। আর যারা ভালো, তাদের জন্য মিত্র হিসেবে কাজ করে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনারা।
গত ১২ অক্টোবর সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করে অনিয়ম পাওয়ায় গাইবান্ধা-৫ আসনের পুরো উপনির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এরপর থেকে ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ ও সরকারের থাকা দলটির শীর্ষ নেতারা নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তাদের মতে ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের ফলে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নষ্ট হচ্ছে, যা ভোটারের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করছে।
জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, সিসি ক্যামেরা ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে কেমন ফল পেয়েছি, তা সবাই জানেন। এটা কতটা স্বচ্ছতা এনেছে, কুমিল্লা সিটিতে সুফল পেয়েছি, জেলা পরিষদ নির্বাচনেও পেয়েছি। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনগুলোতেও ব্যবহার করবো।
আহসান হাবিব খান বলেন, যাদের অসৎ উদ্দেশ্য আছে তারা কিন্তু সিসি ক্যামেরা অ্যাভয়েড করেন। আবার কেউ কেউ মনে করেন প্রাইভেসি নষ্ট করছে সিসি ক্যামেরা। বাসার সামনে, রাস্তা-ঘাটে সব জায়গায় ক্যামরা বসানো। যারা দৃষ্কৃতকারী তাদের জন্য সিসি ক্যামেরা শত্রু হিসেবে কাজ করে। আর যারা ভালো তাদের মিত্র হিসেবে কাজ করে।
এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, বাজেট প্রাপ্যতা সাপেক্ষে আমরা জাতীয় নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করবো। অতীতে যেমন সুফল পেয়েছি ভবিষ্যতেও পেতে চাই। আমরা এখানে পরীক্ষা দিতে আসি নাই। ভালো নির্বাচন উপহার দিতে চাই।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে প্রতিটা নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করবো। স্থানীয় নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচন ও উপ-নির্বাচন; সবগুলোতে। আমরা চাপের মধ্যে কখনো ছিলাম না। সত্যিকার অর্থেই স্বাধীনভাবে সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আহসান হাবিব বলেন, বন্ধ ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনে অনিয়মের তদন্ত করেছে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটি। তারা কম্পাইল করছে। অনেক বড় বিধায় তারা সময় (তিন দিন) চেয়েছে। কমিশন হয়তো সময় দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২২
ইইউডি/এমজেএফ