বরিশাল: প্রতীক বরাদ্দের একদিনের মধ্যেই প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে বরিশাল সিটি নির্বাচন। শহরের প্রধান সড়কসহ অলি-গলিতে প্রার্থী ও প্রতীকের ছবি সংবলিত পোস্টার চেয়ে গেছে।
রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা ছাড়া অন্যান্যরা নিজেদের নির্ধারিত প্রতীক নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। আস্থাটাও তাদের প্রতীককে ঘিরে। বিশেষ করে কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতীকের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
এবার যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তাদের মধ্যে অতীতে অনেকেই জয়-পরাজয় দেখেছেন। তাদের মধ্যে অনেকে আগের প্রতীকেই খুশি; কেউ আবার চেয়েছেন নয়া মার্কা।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সব বেশি চাহিদা ছিল ঠেলাগাড়ির। ২৭ প্রার্থী তাদের মার্কা হিসেবে এ প্রতীক নিয়েছেন। ঘুড়ির চাহিদাও ছিল অনেক, নিয়েছেন ২৬ জন। প্রতীক হিসেবে লাটিম নিয়েছেন ২১; টিফিন ক্যারিয়ার ১৪; রেডিও ১১; ট্রাক্টর ৬; ৪ জন মিষ্টি কুমড়া; ৩ জন কাটা চামচ; ২ জন ব্যাডমিন্টন র্যাকেট ও একজন ঝুড়ি প্রতীক নিয়েছেন।
এছাড়া সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে আনারস ও বই প্রতীকে সর্বোচ্চ ১০ জন করে ২০ জন আস্থা রেখেছেন। এছাড়া ৮ জন চশমা, ৪ জন হেলিকপ্টার, ৪ জন মোবাইল ফোন, ২ জন ডলফিন, ২ জন জিপগাড়ি ও একজন গ্লাস প্রতীকে আস্থা রেখেছেন।
সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের মাঠে সাতজন মেয়র প্রার্থী, ১১৬ জন সাধারণ ও ৪২ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। শুধুমাত্র ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মো. রফিকুল ইসলাম (খোকন) নির্বাচিত হয়েছেন। বাকিরা আগামী ১২ জুন ভোটে লড়বেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৩
এমএস/এমজে