বরিশাল: প্রার্থীদের পদচারণায় পুরোদমে জমে উঠেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনী প্রচারণা। সকাল থেকে মধ্যরাত অব্দি প্রার্থীরা নানা কৌশলে জনগণের কাছে ভোট চাচ্ছেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের জীবনসঙ্গীরাও প্রচার-প্রচারণায় নেমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। পিছিয়ে নেই হাতপাখার প্রার্থীর পক্ষের নারী কর্মী-সমর্থকরাও। তারাও ওয়ার্ড ভিত্তিক ৭০ জন করে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
হাতপাখার প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমও প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রচারের সময় বেশভূষা নিয়েও তিনি আলোচনা সৃষ্টি করেছেন। ভোটারদের কাছে তিনি ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন লুঙ্গি-পাঞ্জাবি পরে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে ফয়জুল করীম বলেন, আমি কালচারগুলো ভাঙার জন্যই এসেছি। বর্তমান কালচার হলো পোশাকে ভদ্রতার পরিচয়। কিন্তু বাস্তবে পোশাকে ভদ্রতার পরিচয় নয়। মানুষের দেমাগ, আদর্শ এবং চরিত্র হলো ভদ্রতার পরিচয়। আমি প্রমাণ করতে চাই, যারা পোশাক দিয়ে এদেশের মানুষকে ধ্বংস করছে, খতম করছে, ডাকাতি করছে, চুরি করছে, হাজার হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার করছে আমি তাদের চেহারাকে উন্মোচন করতে চাই। পোশাকে মানুষের পরিচয় হয় না, চরিত্র এবং আদর্শে মানুষের পরিচয় হয়।
সোমবার (২৯ মে) দুপুরে বরিশাল নগরের বান্দরোড ও এর আশপাশের এলাকায় গণসংযোগ ও ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন হাতপাখার এ প্রার্থী। এ সময় তার সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের। তিনি বলেন, আমি নিজে একজন ধার্মিক ব্যক্তি। আমার প্রচার-প্রচারণায় অনেকেই ধর্মের কথা টানছেন। তাদের নির্দিষ্ট করে বলতে বলুন কোন ধর্ম ব্যবহার করে আমরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি। যারা এ কথা বলছে, তারা আমার ওপর ভীত হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে এটা হলো আসল কথা। আমি তো আগেই বলেছি নির্বাচিত হলে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের মানুষ এই সিটির মধ্যে সম-অধিকার পাবে। তারা একজন নাগরিক হিসেবেই তাদের অধিকার ভোগ করবে, এখানে কে মুসলিম, কে হিন্দু কে সংখ্যালঘু দেখার বিষয় নেই।
এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আমরা করিনি। ভবিষ্যতে দেখলে অবশ্যই করা হবে। নির্বাচিত হলে বরিশালকে আধুনিক নগরী করতে যা যা করা প্রয়োজন তাই করব।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩
এমএস/এমজে